রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুরের মিঠাপুকুরে নব্য খননকৃত শালমারা নদী পাড়ের বালু বিক্রি বন্ধে শালমারা দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বালুখেকো শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় মিঠাপুকুর রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক মানব কন্ঠে’র মিঠাপুকুর উপজেলা প্রতিনিধি’ খন্দকার রাকিবুল ইসলামের উপর প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা চালায় শরিফুল গং।
বৃহস্পতিবার (৬-জুলাই) শালমারা নদীর বালু বিক্রি সংক্রান্ত বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে স্হানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা এবং অনলাইনসহ বেশকিছু গণমাধ্যমে, চলছে নদীর বালু উত্তোলনের মহা-উৎসব,এমন শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক খন্দকার রাকিবুল ইসলাম। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বালু খেকো শরিফুল গং।
শুক্রবার (৭-জুলাই) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ ঘটিকার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে খন্দকার রাকিবুল ইসলাম, মিঠাপুকুর রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে আসার পথে উপজেলার শালমারা নামক বাজারে শরিফুল ইসলাম,দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শত শত জনতার মাঝে সাংবাদিক খন্দকার রাকিবুল ইসলামকে বেধড়ক পেটান। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
খন্দকার রাকিবুল ইসলাম, আহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় তার সহকর্মী এবং স্হানীয় সংবাদকর্মীরা। ঘটনাটি মিঠাপুকুর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ঘটনার সত্যতা পায় এবং আহত রাকিবুল ইসলামকে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠান।
পুলিশ অপরাধী শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতারের জন্যে আস্বস্ত করলেও ঘটনার ২৪’ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এ পর্যন্ত শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে পারেনি মিঠাপুকুর থানা পুলিশ। অন্যদিকে প্রকাশ্য শরিফুল ইসলাম ঘুরলেও পুলিশ বিষয়টি কর্নপাত করছেনা। এতে সাংবাদিক সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মিঠাপুকুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতিঃ রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম), সাধারণ সম্পাদক-আমিরুল কবির সুজন,সহ-সভাপতি,আশিকুর রহমান,মিল্লাত হাসান,রুকনুজ্জামান রুবেল, রাকিবুল ইসলাম, সুলতান মারজান , শাহ আলম মিয়া, রতন বাবু, নাজুমুল হাসান সহ অনন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সংবাদকর্মীর উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে অপরাধীকে গ্রেফতার করা নাহলে কঠোর কর্মসূচী গ্রহনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, অপরাধীকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। অভিযান অব্যাহত আছে।