তিতাস গ্যাসে এখন আর চিহ্নিত কোনো অবৈধ সংযোগ নেই বলে দাবি করেছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।
তিনি জানান, গত ২১ মাসে ৫ লাখ ২০ হাজার ৪০২টি গৃহস্থালির অবৈধ সংযোগের পাশাপাশি শিল্প, বাণিজ্য, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ৬৪৪টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। একটি অবৈধ সংযোগ থাকা পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সোমবার (১০ জুলাই) বিকালে কোম্পানির নিজস্ব হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হারুনুর রশিদ মোল্লাহ জানান, ২২৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্নভাবে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। একই সঙ্গে ৫৫ থেকে ৬০ জন ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিতাসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে অবৈধ ব্যবহারকারী ছিল নারায়ণগঞ্জে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪ হাজার ৮২টি অভিযান চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ১১৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ছাড়াও ৩ হাজার ৯৬৭টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলার ৪ হাজার ৪৩১টি স্পটে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এরপরে অবৈধ ব্যবহারকারী ছিল গাজীপুরে; জেলাটিতে ১ লাখ ৪৯৪টি আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এখানে ৪ হাজার ৬৮৫টি স্পটে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬৭টি, আর ৪ হাজার ১১১টি অভিযান পরিচালনা করে তিতাস কর্মকর্তারা।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনেই অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে অপেক্ষাকৃত বেশি অবৈধ ব্যবহারকারী ছিল উত্তরে। এখানে ৯৭ হাজার ৯৯৯টি অবৈধ ব্যবহারকারী ছিল। দক্ষিণে ১২ হাজার ৭৭৪টি গৃহস্থালির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তবে অবৈধ সংযোগের দিক থেকে ময়মনসিংহর অবস্থা তুলনামূলকভাবে কম। সেখানে মাত্র ৩৮২ জন গ্রাহকের অবৈধ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে।
তবে এর বাইরে তিতাস বকেয়া গ্যাস বিলের কারণে ৮২ হাজার ৪৮২টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। অন্যদিকে তিতাস অবৈধ ব্যবহারের জন্য ৬৪৪টি সংযাগ বিচ্ছিন্ন করেছে। এর মধ্যে শিল্পে ২৫০টি, বাণিজ্যে ৩২৯টি, ক্যাপটিভে ৫৫টি, সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে ১০টি।