আমরা রক্ত দিয়ে ১৯৭১ সালে এ দেশ স্বাধীন করেছি। মামলার জট নিরসনের যুদ্ধেও জয়ী হব। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি আমাদের
বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছি আপনারা পরিশ্রম করে এখন যত সংখ্যক কেস ফাইলিং হচ্ছে, তার থেকে নিষ্পত্তি যাতে বেশি হয়। ১২০টি কেস ফাইলিং হলে যদি ১২৫টি নিষ্পত্তি হয়, তা হলে ৫-৬ বছরের মধ্যে মামলাজট কমে আসবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা সারাদেশের আদালতগুলোতে এই ধরনের ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করছি। এর আগে প্রধান বিচারপতি আদালত প্রাঙ্গণে কয়েকটি বৃক্ষরোপণ করেন।
এদিন বিকাল ৫টায় প্রধান বিচারপতিকে স্বাগত জানান ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এএইচএম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া, মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামান, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাশফিকুল ইসলাম ও ঢাকার বিচার বিভাগীয় অন্য কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া আরও স্বাগত জানান আদালতের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান, ঢাকার পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, আইনজীবী মোখলেছুর রহমান বাদল, আইনজীবী আব্দুল বাতেন, মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান, সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের।
এদিন প্রধান বিচারপতির সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এসকেএম তোফায়েল হাসান এবং প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব আরিফুল ইসলাম।