সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নাম হবে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়’। এজন্য বিদ্যমান ‘সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০২৩’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইনের খসড়া চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ বাড়িয়ে চার বছর করা হয়েছে। এত দিন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের মেয়াদ চার বছর হলেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ ছিল তিন বছর। এছাড়াও আইনের খসড়ায় আরও কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন আনা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘জেলা (চট্টগ্রাম পার্বত্য জেলাসমূহে বলবত্করণ) আইন, ২০২৩-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি মূলত সামরিক শাসনের সময়ের অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। বিষয়বস্তুতে পরিবর্তন নেই। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ব্রিকসের আওতাধীন ‘নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে’ যোগ দেওয়া সংক্রান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জাতীয় ট্যারিফ নীতি, ২০২৩-এর খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সভায় অনির্ধারিত আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক কলাগাছের আঁশ দিয়ে দিয়ে প্রথম বারের মতো সুতা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। যারা শাড়ি তৈরি করেন, তারা ইতিমধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব এলাকায় বেশি কলাগাছ জন্মে, সেসব এলাকায় যাতে এ শাড়ি তৈরির কাজ শুরু করা হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারের চলতি বছরের এপ্রিল-জুনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের চিত্র তুলে ধরা হয়। এ সময়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে পাঁচটি। তাতে ৬৫টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। এর মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ৩৪টি।