নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঐতিহ্যবাহী সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সিরাজগঞ্জের সাংবাদিকরা। এ সময় প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী তিন অপ সাংবাদিক জেহাদুল ইসলাম, ইউসুফ দেওয়ান রাজু ও আব্দুল মালেকের স্ব স্ব মিডিয়া থেকে অপসারণ এবং তাদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত শহরের চৌরাস্তা মোড়ের চারটি রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি মাদকসেবী ও চাঁদাবাজ বিতর্কিত সাংবাদিক জেহাদুল ইসলাম, আর টিভির জেলা প্রতিনিধি পরিচয়ে চাঁদাবাজী করা ইউসুফ দেওয়ান রাজু এবং জামায়াত শিবিরের সক্রিয় সদস্য জাগো নিউজের আব্দুল মালেক প্রেসক্লাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়েছে। তারা প্রেসক্লাবের সদস্য না হয়েও নির্বাচন বন্ধের জন্য দফায় দফায় আদালতে মামলা দায়ের করেছে। আদালত ওই মামলা প্রেক্ষিতেই নির্বাচনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
প্রেসক্লাবের সার্বিক বিষয় নিয়ে অতি সম্প্রতি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মীর মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, আইনজীবী বিমল কুমার দাসের উপস্থিতি ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে নির্বাচনী কার্যক্রম চলছিল। ১৯ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনের মাত্র ২২ ঘণ্টা আগে আদালত স্থিতাবস্থা জারি করেছে।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে এই নির্বাচনের সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করা না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাহেক সহ-সভাপতি ইসরাইল হোসেন বাবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজল-এ-খোদা লিটন, সাবেক সহ-সভাপতি ও বাসসের প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম ফিলিপস, সাবেক সহ-সভাপতি এস এম তফিজ উদ্দিন, সমকালের প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম খান রানা, সাবেক দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী এস এইচ ফিরোজী, আব্দুস সামাদ সায়েম, মোস্তাক আহমেদ নওশাদ প্রমুখ।
সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সড়ক অবরোধের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কর্মসূচি মূলতবি করা হয়।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, আদালতের প্রতি সবার শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিৎ। তারপরও বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মীর মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আদালতের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। অবরোধ করলেও আমাদের কিছু করার নেই।