তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিবাজগঞ্জের তাড়াশে দিন দুপুরে তাড়াশ উপজেলা চত্বরের অবস্থিত একটি ও উপজেলা হাসপাতালের দুটি সরকারি আবাসিক ভবনের বাসায় দুর্ধষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর এ সময় চোরের দল ওই তিনটি বাসা থেকে নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও তিন ভরি ওজনের স্বর্নালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে। পাশাপাশি আলমিরা, ওয়ারড্রব, ফাইল ক্যাবিনেট ভেঙ্গে ওই বাসার জিনিসপত্র তছনছ করে।
বুধবার (১৯জুলাই) দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স কোয়ার্টার এবং উপজেলা চত্বরের দুই নম্বর সরকারি আবাসিক ভবনের দোতালার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। আর এ সময় ওই বাসা গুলোর বাসিন্দারা অফিসে কর্মরত ছিলেন। বিষয়টি ৫০টি শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. রাকিবুল হাসান নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় তাড়াশ থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
জানা গেছে, দুপুরে একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল তাড়াশ উপজেলা চত্বরের অবস্থিত দুই নম্বর সরকারি আবাসিক ভবনের দোতালায় উঠে উপজেলা মসজিদের ইমাম ও শিক্ষক মওলানা মো. ওয়াহাব আলীর বাসার তালা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে ঢুকে আলমিরার তালা ভেঙ্গে নগদ প্রায় ৩০ হাজার টাকা, তিন ভরি ওজনের স্বর্নালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। পাশাপাশি প্রায় একই সময়ে চোরের দল তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালের নার্স লায়লা সুলতানা ও ডা. মনিরা খাতুন এবং ইফাতয়ারা ইফার সরকারি আবাসিক ভবনের বাসায় তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে নগদ প্রায় ২০ হাজার টাকা সহ অন্যান মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। পরে বিকালে ওই সকল বাসার বাসিন্দারা বাসায় এসে ঘরের তালা ভাঙ্গা পান। তাড়াশ ৫০ শয্য বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স লায়লা সুলতানা জানান, হাসপাতালের দুটি বাসাতেই চোরের দল চুরির পাশাপাশি বিভিন্ন জিনিস পত্র ব্যাপক তছনছ করেছে।
তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। তবে এখনো অভিযোগ পাইনি। আর চোরদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে দিনদুপরে উপজেলা প্রকৌশলী ইফতেখার সারোয়ার ধ্রুব এর সরকারী আবাসিক ভবনে তার বাসায় থেকে চোরের দল ঘরের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা,স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক বা টাকা ও স্বর্নালাঙ্কার উদ্ধার করতে পারে নি।