সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
প্রধান উপদেষ্টা নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হয় না, হবেও না… নওগাঁয় পৈত্রিক সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে স্বাক্ষর জাল, দুদকে অভিযোগ সারিয়াকান্দিতে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে গ্রীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুরু   কাজিপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অবহিত করণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত  কাজিপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে গুণী শিক্ষকদের সন্মাননা প্রদান খানসামায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন চারঘাটে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত সিরাজগঞ্জে তিন হত্যা মামলার আসামি মুছা কক্সবাজারে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

সরকারের উন্নয়নের বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন যুবলীগ নেতা মাজহার

রিপোর্টারের নাম / ৩৩৫ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে



নিজস্ব প্রতিবেদক,নরসিংদী

নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী যুবলীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক ত্যাগী নেতা কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম।

নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের বার্তা নিয়ে ভোটার ঘরে ঘরে যাচ্ছেন যুবলীগের এই নেতা।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-৪ (মনোহরদী ও বেলাব) সংসদীয় আসনে এমপি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী যুবলীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক ক্লিন ইমেজ, ত্যাগী ও তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম।

নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম মনোহরদী বেলাব সংসদীয় আসনে স্থানীয় ভোটারদের ঘরে ঘরে জনসংযোগ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এই দুই উপজেলায় তার রয়েছে বিপুল পরিমাণ কর্মী। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে এই আসনে তিনি মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

মনোহরদী ও বেলাব এই দুই উপজেলায় প্রতিনিয়ত তিনি এলাকায় অবস্থান করে বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করছেন।তিনি এই সংসদীয় আসনের প্রতিটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রতিবন্ধী, পক্ষাঘাতগ্রস্ত অসহায় ১৩৫ জনকে বিনামূল্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করেছেন। তিনি এই দুই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সেলাইয়ের কাজ জানেন এমন ১২৫ জন নারীকে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন। স্থানীয় অসহায় ও দরিদ্র জনসাধারণের চিকিৎসা সেবায় নিয়মিত সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এছাড়া, প্রতি ঈদে স্থানীয় গরিবদের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। গত শীতে এই দুই উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১০ হাজার কম্বল বিতরণ করেন। তিনি মনোহরদী এবং বেলাব উপজেলার প্রায় সবগুলো মাদ্রাসায় মাহে রমজান উপলক্ষে ২৪০০ কোরআন শরীফ বিতরণ করেন ।তিনি জানান, তার এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তার এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ব্যতিক্রমী উদ্যোগের অংশ হিসেবে মনোহরদী ও বেলাব উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রায় সকল সদস্য, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজ নামচা বই দশ হাজার কপি বিতরণ করেন। করোনাকালীন সময়ে দশ হাজার স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে চাল, ডাল, আল, চিনি, সেমাই, মাছ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান উপহার প্রদান করেন।

এছাড়া তিনি মনোহরদী ও বেলাব উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত আর্থিক অনুদান প্রদান করে চলছেন। এই দুই উপজেলায় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, ওয়াজ মাহফিল ও হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা পার্বণ সহ সকল ধরনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। মনোহরদী ও বেলাব উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং গ্রামে নিয়মিত দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণের সাথে তার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিতে বিশ্বাসী পরিবার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি ছাত্রলীগের এই মূলনীতিকে বুকে ধারণ করে তিনি মনোহরদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় লেখাপড়াকালীন সময় থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর স্ত্রী জাতীয় নিরাপত্তা অধিদপ্তরের উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছে। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের আগের কমিটির বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উপশিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতিতে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও পরের কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ ২৬ বছর পর ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাত শিবিরের ঘাঁটিতে আঘাত হানা হয় সেই জামাত শিবির বিরোধী আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে বারবার হামলা ও মামলার শিকার হন। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্নস্তরে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ, শিবির ও ছাত্রদল দ্বারা বহুবার নির্যাতিত হন।

তিনি ২০০৬ সালের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ঢাকার রাজপথ তৎকালীন বিএনপির জামাত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ২৫ টি সেলাই লাগে, যা আজও তার মাথায় দৃশ্যমান রয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন । ১/১১ এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর ঢাকার রাজপথে শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার জন্য যে সকল কর্মসূচি হয়েছিল তার সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir