নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতা হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও দুইজনকে ১০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মোঃ নাজির দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- কাজিপুর উপজেলার মোঃ মজনু মিয়া ওরফে মজনু, দীল বাবু , মোঃ রবিউল ও মোঃ রেজাব ওরফে পাইত্যা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরে জেলার কাজিপুর উপজেলার মাজনাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলমান অবস্থায় বিএনপির নেতা ইকবালের নেতৃত্বে লাল বাবু, মজনু মিয়া, রবিউল, রেজাব ওরফে পাইত্যাসহ আরো ৭/৮ জন বিদ্যালয়ে গিয়ে ঠিকাদার হারুন অর রশিদের নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। ঠিকাদার চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা ছাদ ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষকের ভাই শফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে ইকবাল তার লোকজনসহ চলে যান। পরদিন শফিকুল ইসলাম দোকানে চিনি কিনতে গেলে ইকবালের নেতৃত্বে তারা শফিকুলের উপর হামলা চালায় এবং মজনু ডেগার দিয়ে পরপর ৫টি আঘাত করে জখম করেন। কিন্তু ৫ম আঘাতটি শফিকুল সরে যাওয়ায় ইকবালের বুকের ডান পাশে লেগে ইকবাল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় ইকবালের ভাই লাল বাবু বাদী হয়ে কাজিপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসলে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজেই বাদী হয়ে শফিকুলকে আক্রমণকারী ইকবালের সাথে থাকা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য মোট ৩৭ জন সাক্ষী গ্রহন করেন। সাক্ষ্য-প্রমানে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আসামী মোজাম ও মোজাম্মেল, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ রবিউল, লাল বাবু, মোঃ মাসুম বাবু বাবুর উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আসামী মজনু মিয়া ওরফে মজনু, রেজাব ওরফে পাইত্যা পলাতক রয়েছে। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পি. পি আব্দুর রহমান এবং আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডঃ মোঃ শওকাত হোসেন ও মোঃ গোলাম হায়দার।