উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এম শাহজাহান আলীর চাকুরি শেষে পদে থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বৈধ নয় বলে জানিয়েছেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনবল কাঠামোর প্রবিধান ভঙ্গ করে গর্ভনিং বডির সভাপতি গত ১২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট অবৈধ চুক্তিভিত্তিক অধ্যক্ষ পদের নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। আবেদনটি শিক্ষানীতির বর্হিভূত হওয়ায় গত ১৯ জুলাই বুধবার আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে অধ্যক্ষ পদ বিধি সম্মতভাবে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি প্রেরণ করেন মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষকে। এদিকে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন বলছেন চুক্তিভিত্তিক অধ্যক্ষ নিয়োগ বিধি সম্মত নয়, প্রতারণার সামিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার এক শিক্ষক জানান, কয়ড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও নানা অনিয়মের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। বেশকিছু জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় তার অপকর্ম তুলে ধরে বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে নানা প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। তিনি বোর্ড পরীক্ষা সহ নানাবিধ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। কয়ড়া স্কুল এন্ড কলেজের অফিস সহকারী ও মাদ্রাসার গর্ভনিং বডির দুর্নীতিবাজ সভাপতি মজির উদ্দিনের সাথে প্রতারক অধ্যক্ষ শাহজাহান যোগসাজশ করে অবৈধ এই চুক্তিভিত্তিক পদে থাকার ষড়যন্ত্র করছে। মামলাবাজ সুচতুর এই অধ্যক্ষ শাহজাহান সুকৌশলে অধ্যক্ষের চেয়ার অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছেন বলে তিনি অভিযোগ করে জানান।
অবৈধ চুক্তিভিত্তিক আবেদনকারী অধ্যক্ষ মাওলানা এম শাহজাহান আলীর সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, অধ্যক্ষ পদ না ছেড়ে গর্ভনিং বডির রেজুলেশনে অনুমতি নিয়ে মাদ্রাসার সভাপতি আমাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন। বিধিতে আছে কিম্বা বিধি সম্মত কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক কিছুই তো বিধিতে থাকে না। এব্যাপারে আমি উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছি।
কয়ড়া স্কুল এন্ড কলেজের অফিস সহকারী ও মাদ্রাসা গর্ভনিং বডির সভাপতি মোঃ মজির উদ্দিন মুঠোফোনে কথা হলে তিনি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের চিঠি পায়নি বলে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই অপর প্রান্ত থেকে মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, বর্তমান শিক্ষানীতিতে চাকুরি শেষ হলে পদে থাকার ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আর কোন সুযোগ নেই। এব্যাপারে মাদ্রাসার সভাপতি ও কথিত অধ্যক্ষকে গত ১৯ জুলাই তারিখের এক চিঠিতে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে বিধিমোতাবেক অধ্যক্ষের পদ হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।