উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর শহরের ভট্টকাওয়াক এলাকায় উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জোরপুর্বক দোকানঘর দখল করে ওয়াল নির্মাণ করার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, চরকাওয়াক গ্রামের জসিম ও মজিবরের কাছ থেকে ছাইদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ১৯৭৪ সালে ১১শতক জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ওই জমি শুকলাই গ্রামের আব্দুল গফুর ও তার স্বজনরা ৩৬ বছর পুর্বে সাইদুরের রহমানের কাছে কিনে ভোগ দখল করে আসছিল। সম্প্রতি রেকর্ড কারেকশনের জন্য আব্দুল গফুর গং আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আদালতে ১.৫০ শতক জমির দলিল আইনজীবী আদালতে ভুলবশত দাখিল করতে না পারায় আদালত মামলাটি ডিসমিস করে। এসুযোগে জসিমের ছেলে খলিলুর রহমান ও মেয়ে জহুরা খাতুন গোপনে ১.২০ শতক জমি উল্লাপাড়া বাজারের আসাদুজ্জামান তোতার কাছে বিক্রি করেন। এ অবস্থায় আব্দুল গফুর উচ্চ আদালতে রিট করলে উচ্চ আদালত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই জমির উপর স্থিতিবস্থা জারি প্রদান করেন। কিন্তু আদালতের স্থিতিবস্থা উপেক্ষা করে সম্প্রতি আসাদুজ্জামান তোতা, মনোয়ার হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, নাসির উল্লাহ, রিজভী ও বাবলু ৩০/৩৫জন লোহার রড, রামদা, ছোড়া, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জমির উপর নির্মিত দোকানঘর ভাংচুর করে এবং দোকানের সামনে ওয়াল নির্মাণ করেন। এসময় গফুরের আত্মীয় প্রতিবন্ধী বাবলু মিয়া বাঁধা দিলে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং দোকান ঘরের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ফার্নিচার লুটপাট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও জমির মালিক আব্দুল গফুরকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
জমির মালিক আব্দুল গফুর ও তার ভাতিজা লিখন হোসাইন জানান, ৩৬ বছর যাবত বৈধ দলিল ও সরকারী খাজনা প্রদান করে ভোগ দখল করে আসছি। হঠাৎ করেই জমির পুর্ব মালিকের ছেলে-মেয়ে জমি অন্যায়ভাবে আসাদুজ্জমান নামে একজনের কাছে জমি বিক্রি করে দেন। আর আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আসাদুজ্জামান তোতা জোরপুর্বক জমি দখল করে ওয়াল নির্মাণ করেছেন। তারা আরো জানান, তোতা মিয়া উপজেলার বিভিন্নজনের বিবদমান জমি ক্রয় করে এভাবেই দখল করে নেন। প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।
এ বিষয়ে অেিযাগের তদন্তকাকারী কর্মকর্তা জানান, অভিযোগ পাবার পরই কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বাদীর কাছে জমির সঠিক দলিলপত্র চাওয়া হয়েছে। দলিলপত্র জমা দিলে যাচাইবাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে দখল আসাদুজ্জামান তোতা জানান, আমার জানামতে ৬ মাসের আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই ছয়মাস পরে আমি দখল নিয়ে ওয়াল নির্মাণ করেছি। তারপরেও যদি আদালত পুনরায় কোন নির্দেশনা দেয় সেটি মেনে নিবো।