ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমোন গিলমোর বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ রাখবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’
ইমোন গিলমোর বলেন, ‘দীর্ঘ ছয় বছর ধরে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বোঝা বাংলাদেশ বহন করে আসছে এবং বাংলাদেশের মানুষ মানবিক সহায়তা দিচ্ছে। এ জন্য বাংলাদেশ ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। ছয় বছর ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিয়ে আসছে।’ তিনি জানান, ইতোমধ্যে গত চার বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় শরণার্থী সংকট বিরাজ করছে। এরপরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকাল শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে দিনব্যাপী কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তিনিসহ ইইউ’র পাঁচ প্রতিনিধি দল।
গিলমোর বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। রোহিঙ্গারা আমাকে বলেছেন, ক্যাম্পে খাদ্য ও শিক্ষাসহ নানা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে তারা। এ সংকটের মধ্যেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রোহিঙ্গাদের পাশে থাকবে এবং মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রাখবে।’
এর আগে সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছার পর সরাসরি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এই পাঁচ জন। গিলমোরের নেতৃত্বে ইইউ প্রতিনিধি দলটির গাড়ি বহর উখিয়ার কুতুপালং ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছে তারা ওই ক্যাম্পে ইউএনএইচসিআর পরিচালিত রোহিঙ্গাদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম, ইউনিসেফ পরিচালিত রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি পরিচালিত ই-ভাউচার সেন্টার পরিদর্শন করেন। তারা ইউএনএইচসিআরের কমিউনিটি সেন্টারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মানবাধিকার পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
সবশেষে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম পরিচালিত রোহিঙ্গাদের কালচারাল সেন্টার পরিদর্শনের পর দুপুরে কক্সবাজার শহরের উদ্দেশে রওনা দেয় ইইউ’র এই প্রতিনিধি দল।