সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে কু-প্রস্তাব ও অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় এক গৃহবধূকে চুল কর্তন করে মারধর করেছে এলাকার বখাটে ছেলেরা। গৃহবধূকে নির্যাতনের সময় স্বামী এগিয়ে আসলেও তাকে বেধরক মারপিট করেছে বখাটেদের পরিবার।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) গভীর রাতে রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নে্র কালিঞ্জা ব্রীজের পূর্ব পাশে গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিগত ৫দিন অতিবাহিত হওয়ার পর বখাটে ছেলেদের ভয়ে ভুক্তভোগী কোন প্রতিবাদ না করে বাড়ি ছেড়ে চাচা শ্বশুড় বাড়িতে অবস্থান করছে।
জানা যায়, পাঙ্গাসী ইউনিয়নের কালিঞ্জা ব্রীজের পূর্ব পাড়ে আদর্শ গুচ্ছ গ্রামের বাবলু হোসেন এর স্ত্রী মোছা মর্জিনা খাতুন (২৮) কে বিভিন্ন সময় অসামাজিক কাজ ও কু-প্রস্তাব দিত আব্দুর রহিম এর পুত্র আল মাহমুদ (২২), আলতাব হোসেন এর পুত্র সেরাজুল ইসলাম (২১) ও লিটন (২০)। গৃহবধু মর্জিনা খাতুন কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ার সময়ে বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসত বখাটেরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার প্রকৃতির ডাকে সাড়া পেলে টয়লেটের সামনে থেকে জোরপূর্বক মুখ চেপে পাটক্ষেতের দিকে নিয়ে যায়।
গৃহবধুর চিৎকারে স্বামী বাবলু এগিয়ে আসলেও তাকে বেধরক মারপিট করে বখাটেরা। মারপিটে এক পর্যাায়ে বখাটেদের আত্মীয়স্বজন ঘটনাস্থলে এসে বাবলুর ঘরে লুটপাট ও ভাংচুর করে।
বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে বখাটে আল মাহমুদ এর মাতা লিলি বেগম, সেরাজুল, লিটন এসে মর্জিনা খাতুনকে ধরে কেচি দিয়ে মাথার চুল কর্তন করে দেয়।
গৃহবধুর চাচা শ্বশুড় সোবাহান সেখ বলেন, আমার ভাতিজা বউকে নির্যাতন করে বখাটেরা চুল কর্তন করে দিয়েছে। আমরা গরিব মানুষ কোথায় যাব। গুচ্ছ গ্রামের মাতব্বরদের বিষয়টি বলেছি, তারা বিচার দিতে চেয়েছে। কিন্তু আজ ৫দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও বিচার পাচ্ছিনা। মর্জিনা আমার বাসায় রয়েছে। গু”ছগ্রামে বখাটেরা গুচ্ছ গ্রামে ভাড়া বাসায় যেতে দিচ্ছেনা।
বখাটে আল মাহমুদ এর মা লিলি বেওয়া বলেন, মর্জিনা একজন বাজে মহিলা। আমি তাই তার চুল ধরে কেচি দিয়ে কেটে দিয়েছি। তাদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি। আপনারা যা পারেন, তাই করেন।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে কেউ এখনও অভিযোগ করেনি। চুল কর্তনের বিষয়ে এক্ষনি পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।