সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শেরপুরে কমছে নদ-নদীর পানি, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর গ্রেফতার কর্মচারী হত্যায় হাজী সেলিমসহ ৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হলো ১৫ বছরে টাকায় ধস ৬৭ টাকার ডলার ছাড়ায় ১২০ টাকা প্রধান উপদেষ্টা নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হয় না, হবেও না… নওগাঁয় পৈত্রিক সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে স্বাক্ষর জাল, দুদকে অভিযোগ সারিয়াকান্দিতে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে গ্রীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুরু   কাজিপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অবহিত করণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত 

ছাঁদে ডেকে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা! সালিশে ৫ লাখ টাকায় রফাদফা

রিপোর্টারের নাম / ৩০৭ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে

সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় ৫ লাখ টাকা জরিমানায় বিচার শেষ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নের চকমনোহরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ২৯ জুলাই শনিবার বিকেলে ৭ বছরের এক শিশুকে নিজ বাড়ীর ছাঁদে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে একই গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে তপু সেখ (১৩)। পরে ভুক্তভোগী শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে তার পরিবারের কাছে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে।

এরপর স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদকে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলেন ও বিচার চান শিশুটির বাবা।

ঐ দিন রাতেই ছেলের বাড়ীতে সালিশ বসে। গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, আকবর আলী, শহিদুল ইসলাম, আলিমু উদ্দিন, আবু সাইদ শেখ, নুরুল আলম যোগসাজস করে অভিযুক্ত তপু কে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এবং রাতেই ৫ লাখ টাকার চেক নিয়ে নেয়। এরপর সালিশদাররা শিশুটির পরিবারকে মামলা বা থানায় অভিযোগ দিতে নিষেধ করেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত তপুর বাবা আকতারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা হবার হয়েছে সেটা আমরা গ্রামবাসী রাতে বসেই সমাধান করে নিয়েছি।

ধর্ষণের চেষ্টার বিচার ৫ লাখ টাকায় সমাধান করা সেই ইউপি সদস্য আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন ‘আমি কি সালিস করে অন্যায় করে ফেলেছি। আমি সিএনজির মধ্যে আছি এখন কিচ্ছু বলতে পারবো না। পরবর্তীতে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সালিশে উপস্থিত আলিমুদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন বিচারটিতে গ্রামের সবাই উপস্থিত ছিল। আমরা গোপনে কোন কিছু করিনি। সবার সামনেই সব করেছি।

এ বিষয়ে নলকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে একজন ফোন করে ছিল এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

সলঙ্গা থানার ওসি এনামুল হক বলেন, এমন কোন বিষয় শুনিনি। যদি লিখিত অভিযোগ পাই, অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir