নিজস্ব প্রতিবেদক:
ওয়াক্ফকৃত ৬ শতক মসজিদের মধ্যে ৪ শতক জমি দখল, বাকী ২ শতক জমি দখল করতে মসজিদে তালা ও মসজিদের দরজার সম্মুখে খড়ের পালা দেওয়া হয়েছে। মসজিদে তালা ও মসজিদের দরজার সম্মুখে খড়ের পালা তৈরী করায় সমাজের ২’শ পরিবারের পুরুষ সদস্যরা মসজিদের মধ্যে ৫ ওয়াক্ত নামাজ সহ আল্লাহ তায়ালার ইবাদত বন্দেগি করতে পারছে না। জমি দখল করতে মসজিদে তালা ও দরজা সম্মুখে খড়ের পালা দেওয়ায় এতে অত্র এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটী ইউনিয়নে রাজীবপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৌলভীবাড়ি জামে মসজিদে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ৩বছর পূর্বে রাজীবপুর মধ্যপাড়া মৌলভীবাড়ি জামে মসজিদ তৈরী করার জন্য মৃত জাহের আলী পুত্র ওয়াহাব মৌলভী ১ শতক, মৃত মেছের আলীর পুত্র রহমত উল্লাহ ও আব্দুর করিম ১ শতক করে ২ শতক, মৃত তাহের সেখ এর পুত্র ছাইফুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন ১ শতক করে ২ শতক ও মৃত আব্দুর কাদের এর পুত্র মোখলেছুর রহমান ও আশরাফ আলী .০৫ শতক করে ১ শতক জমি সহ মোট ৬ শতক জমি ওয়াক্ফ করেন দেন। দীর্ঘ ২ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর মসজিদের জমি পতিত থাকার সুযোগে মৃত আব্দুর কাদের পুত্র মোখলেছ ও আশরাফ আলী ৪ শতক জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করেন। বাড়ির নির্মাণের পর ১ বছর মসজিদের আরোও ২ শতক জায়গা ও মসজিদকে চিরতরে উচ্ছেদ করার জন্য মসজিদে তালা লাগিয়ে ও মসজিদের সামনে খড়ের পালা তৈরী করেন। যাতে করে এলাকার ধর্মপ্রান্ত মুসুল্লিরা মসজিদে প্রবেশ না করে নামাজ সহ ইবাদত বন্দেগী না করতে পারে।
(৩১ জুলাই ২০২৩ইং), সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগবাটী ইউনিয়নের রাজীবপুর মধ্যপাড়া মৌলভীবাড়ি জামে মসজিদে তালাবদ্ধ ও মসজিদের দরজার সম্মুখে খড়ের পালা তৈরী করে মসজিদে মুসুল্লিদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না মৃত আব্দুল কাদের এর পুত্র মোখলেছুর রহমান (৫০), আশরাফ (৪৫) ও মোখলেছুর রহমান পুত্র আলহাজ্ব (২৪)। প্রভাবশালীদের কারণে মসজিদে তালাবদ্ধ করে রাখায় এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি মৃত মেছের আলীর পুত্র রহমতুল্লাহ বলেন, ইতিমধ্যে মৌলভীবাড়ি মসজিদের নামে ওয়াক্ফকৃত ৬শতক জমির মধ্যে মোখলেছ ও তার ভাই ও ছেলে লাঠির জোরে ৪ শতক জমির দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছে। মসজিদকে চিরতরে উচ্ছেদ করার জন্য ২শতক জমি দখল নেওয়ার জন্য মসজিদে তালা ও মসজিদের দরজার সামনে খড়ে পালা তৈরী করেছে। এতে আমরা মসজিদে এলাকার সমাজের লোকজন নামাজ আদায় করতে পারছি না। মোখলেছ গং এলাকায় লাঠিসোঠা নিয়ে বলে বেড়াচ্ছে যে, যে মসজিদে নামাজ পড়তে আসবে তাকে আমরা মেরে ফেলব। তাই এলাকার কোন ব্যক্তি আর মসজিদে নামাজ পড়তে আসছে না।
এৃত এনছাব আলী পুত্র হারুন অর রশিদ বলেন, মোখলেছ ও আশরাফ মামলা বাজ। তারা সবসময় মানুষের নামে মামলা দিয়ে থাকে। তাই আমরা মামলা ভয়ে জোর করে মসজিদের তালা খুলছি না। সিরাজগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন নিকট জোরদাবী জানাচ্ছি যে, রাজীবপুর মধ্যপাড়া সমাজের লোকজনের নামাজ পড়া ও আল্লাহ ইবাদত করার জন্য শুধু মসজিদে তালা খোলা ও খড়ের পালা একটু সরিয়ে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, মসজিদে কেউ তালা বা যাতায়াতের রাস্তায় প্রতিবদ্ধতা সৃষ্টি করতে পারে না। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।