
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে মামলায় ভিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার অভিযোগ উঠেছে শামচুল নামের এক পুলিশ উপপরিদর্শকেট বিরুদ্ধে। ওই প্রতিবেদনে বর্ণিত সাক্ষীর বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবী মামলায় দেওয়া প্রধান সাক্ষীর।
মামলার প্রধান সাক্ষী আল আমিন জানান, আমি এই মামলার সাক্ষী হই নাই। বাদীনীর সাথে আমার রক্তের কোন সম্পর্ক নাই। ওখানে আমি দেখলাম মামলার বাদী চম্পা খাতুন আমার বোন বলা হয়েছে। তার মা আমার মা নয়। সে আমার প্রতিবেশী। আর আমি পুলিশের কাছে কোন বয়ান দেই নাই। পুলিশের এস আই শামচুল আদালতে আমার মিথ্যা বয়ান দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমি জানতে পারছি পারিবারিক ভূল বোঝাবুঝি থেকে মামলা করেছে। আল আমিন আরও জানান,পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে যা তথ্য দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এদিকে ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী জানান,নয় মাস যাবৎ মিথ্যা মামলায় আমি সহ আমার পরিবারের তিন সদস্য আসামি হয়ে আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছি৷ পুলিশ জনগণের বন্ধু আর সেই পুলিশই এভাবে সংবাদকর্মীকে ফাঁসিয়েছে। তাহলে সাধারণ মানুষের উপায় কি। আমি চিন্তাই করতে পারি না।
আমাদের বিরুদ্ধে বাদী মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
এর পিছনে একটাই কারন বাদীনি বিয়ে হওয়ার পরও বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল। এটি আমার জানা ছিল। আমাকে সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে হেয় করতে মিথ্যা মামলা দেবারও হুমকি দিয়ে আসছিল। তাই করছে। আর তাকে মিথ্যা মামলা করতে সহযোগিতা করতে পুলিশের উপপরিদর্শক শামচুল। তিনি আমার কাছে মামলার প্রতিবেদনের জন্য সরাসরি মোটা অংকের টাকা দাবী করেছিলেন। এতে আমি রাজি না হওয়ায় মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
এদিকে ওই সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার পর বাদী চম্পা খাতুন পরিবার নিয়ে লাপাত্তা হওয়ায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আর সাক্ষীর মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে পুলিশ উপপরিদর্শক শামচুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রকাশক : সোহেল রানা সম্পাদক: আব্দুস সামাদ সায়েম
©২০১৫-২০২৫ সর্বস্ত্ব সংরক্ষিত । তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত (নিবন্ধন নং-২১০)