নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে আদালতের নির্দেশে মৃত্যুর চার মাস ৭ দিন পরে মাহমুদুল হাসান বাবু (১৪) নামে এক কিশোরের লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে চৌহালী থানা এলাকার একটি পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। লাশটি উত্তোলনের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহিদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালর মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত কিশোর মাহমুদুল হাসান বাবু চৌহালীর দক্ষিণ খাষকাউলিয়া এলাকার ময়নুল হকের ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, গত ২৬ মার্চ দুপুরে নিহত মাহমুদ হাসান বাবু তার বন্ধু মজিবর ও রাকিবের সাথে বাসা থেকে ঘুরতে বেরিয়ে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার চৌদ্দখাদা এলাকায় বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
নিহতের নানা ইউসুফ আলী মন্ডল জানান, ২৬ মার্চ বিকেলে খবর পায়, যে তার নাতী মাহমুদ হাসান বাবু বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা হেলফ কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বাবুর মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার নাতীর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়। তিনি আরও জানান, মৃত্যুর আলামতে দেখে বোঝা যায় এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সম্পত্তি দখল ও ওয়ারিশ শুন্য করার জন্যই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার একমাত্র নাতীকে হত্যা করা হয়েছে। এজন্য চারজনের নাম উল্লেখ করে বাকীদের অজ্ঞাত করে মোট ৩৫ জনকে আসামী করা হয়। হত্যার সাথে জড়িত চার আসামী মজিবর (১৪), রাকিব (১৩), মোক্তার (৪০), মোঃ এরশাদ (৩০)।
মামলার তদন্তকারী পুলিশ-পরিদর্শক ইমদাদুল হক জানান, ময়নুল হকের ছেলে মাহমুদ হাসান বাবুর নানা আবু ইউসুফ মন্ডল বাদী হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে গত ২ জুন তারিখে চৌহালী থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। আদালত মামলাটি চৌহালী আমলী আদালতে রুজু করে কবর থেকে লাশ উঠানোর নির্দেশ দেন। তদন্তের স্বার্থে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মেডিকেল অফিসারের উপস্থিতিতে লাশ তুলে মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে নিহত কিশোর মাহমুদুল হাসান বাবুর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।