নিজস্ব প্রতিবেদক,রংপুর:
একজন কর্মঠ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাই পারেন শ্রম ও সুদক্ষতার মাধ্যমে একটি উপজেলার আমূল পরিবর্তন করতে। তার বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা। এই উপজেলায় একের পর এক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের দখলমুক্ত করে দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে উপজেলা চত্বর। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে প্রায় ৫ বছর আগে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল উপজেলা পরিষদ হলরুম। কিন্তু হলরুমের নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হলেও অবৈধ দখলদারদের কারণে হলরুমটি এতদিন উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে ইউএনও’র উদ্যেগে ৫ বছর পর দৃশ্যমান হচ্ছে আড়ালে থাকা উপজেলা পরিষদ হলরুম।
জানা গেছে, মোঃ রকিবুল হাসান রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ইউএনও হিসেবে গত ১ জুন যোগদান করেন। তিনি মিঠাপুকুরে যোগদান করেই হলরুমটির সামনের অংশ দখলমুক্ত করে সংস্কার কাজ শুরু করেন। ফলে দীর্ঘদিন অযত্নে অবহেলায় অলস পড়ে থাকা হলরুমটি দৃশ্যমান হচ্ছে। এছাড়াও তিনি উপজেলা পরিষদের প্রাচীর নির্মাণ, রাস্তা সংস্কার, উপজেলা চত্বর দৃষ্টিনন্দনসহ বিভিন্ন সৃজনশীল কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। সম্প্রতি মিঠাপুকুর মহাবিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত ঐতিহাসিক মিঠপুকুর পরিদর্শন করেছেন। বিশাল এই মিঠাপুকুরটিকে ঘিরেই মিঠাপুকুরের নামকরণ। বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত মিঠাপুকুর এর চারপাশে সৌন্দর্য্য বর্ধনের মাধ্যমে বিনোদন স্পট গড়ে তোলার ব্যপক সম্বাবনা রয়েছে। সেখানে একটি দৃষ্টিনন্দন বিনোদন পার্ক করার দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মিঠাপুকুরবাসীর। অনেকেই ধারনা করছেন এবার ইউএনও’র ছোঁয়ায় দৃষ্টিনন্দন হবে ঐতিহাসিক মিঠাপুকুর। যোগদানের পর থেকে তার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও প্রশাসনিক দক্ষতা ইতোমধ্যে সবার নজর কেড়েছে। নিয়মিত মাসিক সমন্বয় সভার মাধ্যমে উপজেলাকে মাদক মুক্ত রাখা, যৌতুক ও বাল্য বিবাহ রোধ, জঙ্গিমুক্ত সামাজ গঠন ও সমাজ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধনে তিনি কাজ করছেন। এছাড়া তিনি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তদারকি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন, আশ্রয়ন প্রকল্প, আদর্শ গ্রাম, নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কলেজ পরির্দশন ও প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নয়নে নজরদারি করছেন। এসব যুগান্তকারী পদক্ষেপ ও তাঁর উন্নয়নমূলক কাজকর্ম স্বচক্ষে দেখে গোটা মিঠাপুকুরবাসী তাঁকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। অনেকের দাবি, ইউএনও রকিবুল হাসান মিঠাপুকুর উপজেলা প্রশাসন তথা সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন।
ইউএনও’র সাফল্যের বিষয়ে পাইকান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান বলেন, সরকারের একজন উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীল প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে ইউএনও স্যার অসাধারণ একজন মানুষ। তিনি গণমানুষের মৌলিক চাহিদা শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে কাজ করছেন। স্যারের ভালবাসা এবং সততায় মিঠাপুকুরের জনসাধারণ মুগ্ধ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, আমি আমার দায়বদ্ধতা থেকেই এ সকল উন্নয়নমূলক কাজ করার চেষ্টা করছি। এসব কাজে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সকল জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দরা আমাকে সহযোগিতা করছেন। প্রকৃতপক্ষে ভালো কাজ করলে সবাই সহযোগিতা করেন। সকলের দোয়া চাই, যেন ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকে।