নাটোর প্রতিনিধি;
২০১৯ সালে বিদেশে যায় ওবাইদুল হক। আত্মীয়-স্বজন ও আশেপাশে এলাকার অনেক তরুণ জীবিকার তাগিদে বিদেশ গিয়ে ভাগ্য বদলেছে। তাদের দেখাদেখি ওবাইদুল হক ও সৌদি আরবে যায়। ভালোই আয় রোজগার করছিল সে। এবারের ছুটিতে এসে বিয়ে করবে বলে জানিয়েছিলো পরিবারকে। ওবাইদুল ফিরেছে, কিন্তু বিয়ে করার জন্য নয়। ওবায়দুলের লাশ এসেছে বাড়িতে।
চলতি বছরের ১৪ই জুলাই
ওবাইদুলের কর্মস্থল সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের একটি আসবাবের দোকানে আগুন লেগে মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে মা রাহেলা শয্যাশায়ী। সাত ভাই ও চার বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ওবাইদুল।
আজ বুধবার দুপুরে নলডাঙ্গা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে আসে ওবায়দুলের বাক্সবন্দী লাশ। হুইসেল বাজিয়ে এম্বুলেন্স ওবায়দুলের বাড়িতে পৌঁছাতেই স্বজনদের কান্নার আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে গ্রামের পরিবেশ। আগুনে দগ্ধ ছেলের কফিনের দিকে অপলক চেয়ে আছেন মা। সেই দৃশ্য দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না স্বজনরা। আদরের ছোট ভাইকে হারানোর দীর্ঘ দিনের শোকের মাত্রা এক মুহুর্তের বেড়ে গেলো ভাই -বোনদের।
লাশ আসবে আজ তাই কবর খোঁড়া থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রস্তুতি আগে থেকেই নিয়েছিল পরিবার। আর সকাল থেকেই গ্রামের লোকজন আসতে থাকে ওবাইদুলের বাড়িতে।
নিহতের বড়ভাই আমিরুল ইসলাম জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৩ টায় ঢাকা শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওবাইদুলের লাশ এসে পৌঁছায়। আমি পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ গ্রহন করি।
০৩নং খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন— ওবাইদুলের লাশ পরিবার বুঝে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কবর আগে থেকে প্রস্তুত করা ছিল। দুপুর আড়াইটায় চাঁদপুর বাজারে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।