রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চারঘাট ও বাঘার পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক উজ্জল কাজিপুর পুজা মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ জয়পুরহাটে অতিরিক্ত জেলা জজ-১ম আদালতের রেকর্ড থেকে রায় আদেশ গায়েব “ চারঘাট প্রেসক্লাব সদস্যদের সাথে উপজেলা বিএনপির মতবিনিময় সভা আইসিটি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিবের সিরাজগঞ্জে পুজামন্ডপ পরিদর্শন ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক আ হ মুহাম্মদ খোকনের জন্মদিন পালন ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, চিন্তায় জেলেরা ‘আমাকে এখন পর্যন্ত কেউ দেখতে আসেনি, কারণ পরিবারে কেউ নেই’ শেষ মুহূর্তে ইলিশ কিনতে ক্রেতাদের লাইন, কেজি ২৭০০ টাকা বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক হাসনাত, ফেসবুকে জানালেন সারজিস

চিরকুটে ভাই-ভাবিকে দায়ী করে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা!

রিপোর্টারের নাম / ২৪২ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৮:৩১ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চিরকুটে বড় ভাই-ভাবিকে নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে নিজ দোকানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রদীপ কুমাব দেব নামে এক ব্যবসায়ী।


মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মশিপুর সরিষাকোল মাদ্রাসা বাজারের মুদি দোকান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রদীপ কুমার (৪৫) ওই বাজারের প্রদীপ স্টোরের মালিক ও দুর্গাদহ গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন দেবের ছেলে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দেশ্যে বের হন প্রদীপ। এরপর দুপুরে খাবারের জন্য তিনি বাড়িতে না ফেরায় বিকেলে স্বজনেরা তার খোঁজ করতে থাকেন। সন্ধ্যার দিকে দোকানে গিয়ে দেখা যায় সাটার বন্ধ, কিন্তু তালা দেওয়া নেই। পরে সাটার তুলে দোকানের ভেতরে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি নামিয়ে সুরুতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতের সময় পকেটে একটা চিরকুট দেখতে পান। সেখানে ‘আমার মৃত্যুর জন্য বড় ভাই ও ভাবি দায়ী’ একই কথা মোট ৮ বার লেখা ছিল। চিরকুটে প্রদীপ কুমারের স্বাক্ষরও ছিল।


নিহতের স্ত্রী চম্পা রানী অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাসুর ও তার স্ত্রী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের ঘর ভাঙার জন্য চাপ সৃষ্টি করছিল। এই কারণে আমার স্বামী মানুষিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। তাদের অত্যাচারে তিনি রাতে ঘুমাতেও পারতেন না। তাদের অত্যাচারের কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।


শাহজাদপুর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, প্রদীপ কুমার ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন এনজিওতে সপ্তাহে প্রায় ৭-৮ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হতো। এসব কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তার পকেটে পাওয়া চিরকুটে বড় ভাই ও বৌদিকে অভিযুক্ত করার বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আজ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir