৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদ ক্যাপ্টেন এম.মনসুর আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী ঢাকা ধানমন্ডি ৩২বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার বিশেষ চিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী দিন রবিবারও মানুষের ঢল নেমেছিল। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, তরুন-তরুনীসহ নানা বয়সীর মানুষ এমনকি বিদেশী পর্যটকরাও চিত্র প্রদর্শনী দেখতে ভীড় জমায়।
চিত্র প্রদর্শনী শেষে মন্তব্য খাতায় পরিদর্শনকারীরা বিভিন্ন মন্তব্যও লিখেছেন। বিকেলে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এ্যাড. কামরুল ইসলাম চিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। এসময় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেহেরিন সেলিম রিপনসহ ফাউন্ডেশনের অন্যান্য সদস্যরা সাবেকমন্ত্রীকে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার দুর্লভ সেই চিত্রগুলো ঘুরে ঘুরে দেখান।
পরে সমাপনী অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করায় সংগঠনের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার আদর্শ অনুসরন করে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আয়োজক ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীর বড় নাতি ও সিরাজগঞ্জের সংসদ সদস্য প্রার্থী শেহেরিন
সেলিম রিপন বলেন, চিত্র প্রদর্শনীতে ৩রা নভেম্বরের ভয়াবহ আবহ তুলে ধরা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার বিশেষ বিশেষ মুহুর্তের চিত্র প্রদর্শন করা হয়েছিল।
যে চিত্রের মাধ্যমে তরুণ ও নতুন প্রজন্ম অতীতের কলঙ্কময় ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। একই সাথে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারবেন বলে আমি মনে করছি। চিত্র প্রদর্শনীতে নতুন প্রজন্মের তরুন-তরুনীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আগামী আরো বড় পরিসরে এই চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে তিনি ঘোষনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের রূপকার। আর জাতীয় চার নেতা ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর। তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার। ৭৫’ ঘাতকরা বুলেটের আঘাত তাদের ঝাঝড়া করে তাদের স্বপ্ন নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা তা পারেনি।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই আদর্শের প্রতীক হয়ে কাজ করছেন। আর আমরা তার হাতিয়ার হয়ে রয়েছি। তিনি বলেন, এখনও সেই ঘাতকরা জামায়াত-বিএনপির রূপ নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর বিশ্বস্ত চার সহচরের আদর্শ ভুলুন্ঠিত করতে অপতৎরতা চালাচ্ছে। তাদের সেই অপতৎপরতা রুখে দিতে আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে ফের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
অন্যদিকে প্রদর্শনী দেখতে আসা তরুন-তরুনীরা জানান, চিত্র প্রদর্শনীতে দুর্লভ প্রকৃতির ছবি স্থান পেয়েছে। চিত্রগুলো দেখে জেল হত্যার করুন কলঙ্কময় দিনের দৃশ্যপট মনের অকপটে ভেসে ওঠছে। মনের ভিতর তীব্র নিন্দা ও শোক জেগে ওঠছে। আর শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশের জন্য কাজ করতে উদ্ধুদ্ধ হয়ে ওঠছেন তরুন-তরুনীরা।
প্রদর্শনীর আয়োজকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অনেকে বলছেন, দুর্লভ দৃশ্য সম্বলিত চিত্রগুলো ধানমন্ডি ৩২নয় পুরো জাতির সামনে তুলে ধরা উচিত। তাহলে দেশের মানুষ সেইসব স্বাধীনতা বিরোধী মানুষকে বয়কট করে স্বাধীনতা পক্ষের শক্তির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠবে।