
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যাত্রীসেবা ও লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিতে ‘বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরা’র সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিরাপত্তা (Safety) ও সুরক্ষা (Security) সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। বিশ্বের সকল বিমানবন্দরেই নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের কঠোর নীতি মেনে চলা হয়। নিষিদ্ধ (Prohibited) ও অবৈধ (Contraband) দ্রব্য বহনের আশঙ্কায় বিভিন্ন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশিকালে প্রয়োজনবোধে তালা ভেঙ্গে, চেইন কেটে কিংবা লাগেজের কোনো অংশ কর্তন করে নিষিদ্ধ দ্রব্যাদি অপসারণ করে থাকেন। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী, এ ধরনের নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য যাত্রী বা এয়ারলাইন্সের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয় না।
দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, বিদেশ থেকে আগত অনেক যাত্রী এ ধরনের লাগেজ কর্তনের দায় সম্পূর্ণভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বা বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের ওপর আরোপ করে থাকেন। পাশাপাশি, কিছু অসাধু চক্রও এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ অবস্থায় যাত্রীদের সম্পত্তি রক্ষা, লাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন এবং দায়ী স্টেশন বা ব্যক্তিদের সনাক্তকরণের লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আজ থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত প্রতিটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের লাগেজ ওঠানামা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য ‘বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরা (Body-Worn Camera)’ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে।
উল্লেখ্য, সম্মানিত যাত্রীদের ব্যাগেজ সুরক্ষা ও লাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়া আরও দৃঢ় করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০২৪ সালের জুন মাস থেকেই তার নিজস্ব ফ্লাইটের ব্যাগেজ ডেলিভারি কার্যক্রমে কর্মীদের দেহে বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরা সংযুক্ত করেছে। ইতিবাচক ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে, এখন বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা গ্রহণকারী সকল আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনকেও এই বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরা ভিত্তিক নিরাপত্তা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক, গ্রাহকসেবা, বদরুল হাসান লিটন, যুগ্মসচিব এর নেতৃত্বে আজ রবিবার ( ২১ ডিসেম্বর) উক্ত সেবা প্রদান সম্প্রসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে লিটন বলেন, “আমাদের যাত্রীদের সম্পত্তি ও সেবার গুণগত মান রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এই বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরা প্রযুক্তির সম্প্রসারণ লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। এটি যাত্রীদের আস্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের কর্মীদের পেশাদারিত্বকে আরও উজ্জ্বল করবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের সার্বিক যাত্রীসেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।” কর্তৃপক্ষ জানান,
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিরন্তর যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেবার মান নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রকাশক : সোহেল রানা সম্পাদক: আব্দুস সামাদ সায়েম
©২০১৫-২০২৫ সর্বস্ত্ব সংরক্ষিত । তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত (নিবন্ধন নং-২১০)