ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই প্রস্তাবিত এই রাষ্ট্রের অপর অংশ পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। কট্টর ডানপন্থি ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ এবং বর্তমানে দেশটির অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচ এ তথ্য জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে স্মোতরিচ বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজকে এ বিষয়ক একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি, গতকাল সেটি পাস হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকে বাধা দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সৌদি আরব এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইসরায়েলের অবিরাম বসতি সম্প্রসারণ উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল হয়ে যাচ্ছে এবং সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলছে।
২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়ে গেছে। এখন সেখানে ইহুদি বসতি আরও সম্প্রসারণ হতে থাকায় ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বিস্তৃত হওয়া এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের আশঙ্কা বাড়ছে।
২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান ইসরায়েল সরকার পশ্চিম তীরে নতুন বসতি সম্প্রসারণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। সর্বশেষ সেখানে ১৯ টি নতুন বসতি স্থাপন অনুমোদন পাওয়ায় গত তিন বছরে অনুমোদিত মোট বসতির সংখ্যা দাঁড়াল ৬৯টিতে।
নতুন বসতিগুলো অনুমোদন পেয়েছে জেনিম ও কাদিমে। ২০ বছর আগে এই এলাকা দুটিতে বসতি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। সেখানেই আবার নতুন করে বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে এবার। জাতিসংঘ পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ ২০১৭ সালের পর এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলে জানানোর কয়েকদিন পর ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ এল।
গত মে মাসে ইসরায়েল পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন বসতি অনুমোদন করেছিল। সেটি ছিল কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বসতি সম্প্রসারণ।
ইসরায়েল সরকার অগাস্টেও ৩ হাজারেরও বেশি বাড়ি নির্মাণ অনুমোদন করেছিল ইওয়ান প্রজেক্টের আওতায়। জেরুজালেম এবং মালে আদুমিম বসতির মাঝে এই বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
প্রকাশক : সোহেল রানা সম্পাদক: আব্দুস সামাদ সায়েম
©২০১৫-২০২৫ সর্বস্ত্ব সংরক্ষিত । তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত (নিবন্ধন নং-২১০)