
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সপরিবারে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-২০২ বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজটি।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী ফ্লাইটটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টার গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ড শেষে সকাল ১১টা ১০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে।
এর আগে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৩৬ মিনিটে) তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
বিমান সূত্র জানায়, ফ্লাইট বিজি–২০২ বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭–৯০০ উড়োজাহাজে তিনি ভ্রমণ করছেন। রুটটি লন্ডন–সিলেট–ঢাকা। ভিভিআইপি যাত্রী থাকার কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় বিশেষ নিরাপত্তা ও সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ফ্লাইটে তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ছিল এ–১ নম্বর আসন।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, সিলেটে অবতরণের পর এক ঘণ্টা অবস্থান শেষে বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে অবতরণের কথা রয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের সঙ্গে একই ফ্লাইটে রয়েছেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, ব্যক্তিগত সচিব আব্দুর রহমান সানি, দলের প্রেস উইং সদস্য সালেহ শিবলী, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কামাল উদ্দীন, পাশাপাশি সৈয়দ মইনউদ্দিন আহমেদ ও তাবাসসুম ফারহানা।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। কুড়িল মোড়সংলগ্ন সড়কের উত্তর পাশে দক্ষিণমুখী করে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের একটি বিশাল মঞ্চ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানাবেন। এরপর তিনি জুলাই এক্সপ্রেসওয়ের সংবর্ধনাস্থলে যাবেন এবং সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন।
সংবর্ধনা শেষে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। পরে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে কাকলী মোড় অতিক্রম করে গুলশান–২ নম্বরে তার বাসভবনে ফিরবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনা–সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে প্রায় ১৮ মাস কারাবন্দী ছিলেন তারেক রহমান। মুক্তি পাওয়ার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে যান তিনি। পরবর্তীতে একের পর এক মামলার কারণে দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ ১৭ বছর পর অবশেষে প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরলেন তিনি।
প্রকাশক : সোহেল রানা সম্পাদক: আব্দুস সামাদ সায়েম
©২০১৫-২০২৫ সর্বস্ত্ব সংরক্ষিত । তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত (নিবন্ধন নং-২১০)