বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ০৯:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পাংশায় প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে গরু, ছাগল ও ভ্যান বিতরণ শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি ভাংচুরের মামলায় গ্রেপ্তার ২ তাড়াশে মাদকদ্রব্য নিরোধ কল্পে সচেতনতার লক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিমকোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মে মাসে সড়কে ৬১৪ জনের প্রাণহানি : যাত্রী কল্যাণ সমিতি ‘ঘেউ ঘেউ করার জন্য ইউরোপ টোকাইয়া মাত্র ২০টা লোক পাইলো!’ মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় ছেলের হাতে বাবা খুন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর নিজের গলাকেটে আত্মহত্যার চেষ্টা ইরানের হামলার আশঙ্কায় বাগদাদের দূতাবাস থেকে কর্মী সরালো যুক্তরাষ্ট্র

গাইবান্ধাসহ উত্তরের ৫ জেলায় বেড়েছে মসলা জাতীয় ফসলের চাষ

রিপোর্টারের নাম / ১৩৪ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪, ৫:৫২ অপরাহ্ন

রংপুর অঞ্চলে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিহাট ও নীলফামারী জেলায় এবার মসলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজ ও রসুনের চাষ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কৃষকরা লাভবান হওয়ায় তারা প্রতি মৌসুমে চাষের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে করে এবার ভোক্তাপর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম নাগালের মধ্যে থাকবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় এবার পেঁয়াজের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন। অপরদিকে রসুনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৮৮০ মেট্রিক টন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এবার রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ৯ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। যা গতবারের চেয়ে ৫২১ হেক্টর বেশি। এরমধ্যে রংপুরে ৩ হাজার ৫১০ হেক্টর, গাইবান্ধায় ১ হাজার ৫৬৯ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ২ হাজার ৫০৫ হেক্টর, লালমনিহাটে ৯২০ হেক্টর ও নীলফামারী জেলায় ৮৫১ হেক্টর জমি রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগে এই অঞ্চলের কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে অনেকটা বিমুখ ছিলেন। বাজারে দিনদিন পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতিতে কৃষি কর্মকর্তারা পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় দিন দিন পেঁয়াজ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়ার পাশাপাশি জমির পরিমাণও বাড়তে থাকে।

রংপুর নগরীর বড়বাড়ি হিন্দুপাড়া গ্রামের পেঁয়াজ চাষি বিষ্ণ-ঝাঁ জানান, তিনি গত কয়েক বছর থেকে পেঁয়াজ চাষ করছেন। আগে তিনি ওই জমিতে অন্য ফসল করতেন। পেঁয়াজে লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তিনি এবার জমির পরিমাণ বাড়িয়েছেন। পেঁয়াজ আবাদে দ্বিগুন লাভ পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

নগরীর ভোলার পুকুর এলাকার আফজাল হোসেন জানান, গত ৮ বছর থেকে পেঁয়াজ চাষ করে আসছেন তিনি। প্রথমে ৬ শতক জমিতে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছিলেন। এখন চার গুণ জমিতে পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় আগামীতে আরো বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ করবেন।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৭০-৮০ থেকে টাকা ও দেশি রসুন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ দুই বছর এই সময়ে অনেক কম দামে বিক্রি হতো বলে জানিয়েছেন রংপুর সিটি মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

অপরদিকে, রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় গতবারের চেয়ে এবার ১১৮ হেক্টর বেশি জমিতে রসুনের আবাদ করা হচ্ছে। এবার মোট জমির পরিমাণ ৩ হাজার ৪৮৪ হেক্টর। এরমধ্যে রংপুরে ১ হাজার ২৭০, গাইবান্ধায় ৩২৬ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ৬১৫, লালমনিহাটে ৪৫৭ ও নীলফামারীতে ৮১৬ হেক্টর রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পেঁয়াজ ও রসুন চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে পেঁয়াজ ও রসুন চাষ বেড়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir