নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কড্ডার মোড় ভুইয়াপাড়া এলাকা থেকে সীমা খাতুন (১৮) নামে নয়মাস গভবর্তী এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সদর থানা পুলিশ ওই নারীর স্বামীর বাড়ী থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারনা ওই নারী আত্মহত্যা করেছে। তবে পরিবারের অভিযোগ ওই নারীকে যৌতুকের মাত্র এক ভরি সোনার জন্য মারপিটের পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই নারীর স্বামী মনিরুল ইসলামকে আটক করেছে।
নিহত সীমা খাতুনের বাবা কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট গ্রামের কলিম উদ্দিন জানান, দশ মাস আগে সদর উপজেলার কড্ডা মোড় ভুইয়াপাড়া গ্রামের ফজল শেখের ছেলের সাথে তার মেয়ে সীমা খাতুনকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর যে কোন সময় এক ভরি সোনার গহনা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকার অভাবে দিতে পারিনি। এ জন্য বিভিন্ন সময় মেয়েকে নির্যাতন করত। এ অবস্থায় গতরাত ১০টার দিকে মেয়ে ফোন দিয়ে বলে বাবা ১ ভরি সোনা দিয়ে দাও। নইলে আমার স্বামী আমাকে মারধর করছে। আমি বলেছিলাম কালকে মধ্যেই সোনা দিয়ে দিবো। কিন্তু রাত ৩টার দিকে জানতে পারি আমার মেয়ে মারা গেছে। তিনি আরো জানান, আমার মেয়ে নয়মাসের গভবর্তী ছিল। ঘাতক স্বামী মনিরুলই আমার মেয়েকে মারপিটের পর আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য ধরনার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিল। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক কমল চন্দ্র জানান, সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মারপিটের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছে। তারপরেও নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী মনিরুলকে আটকের পর আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে ৩০৬ ধারায় মামলা রেকর্ড করে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের শেষে রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।