বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
পাংশায় প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে গরু, ছাগল ও ভ্যান বিতরণ শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি ভাংচুরের মামলায় গ্রেপ্তার ২ তাড়াশে মাদকদ্রব্য নিরোধ কল্পে সচেতনতার লক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিমকোর্ট এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মে মাসে সড়কে ৬১৪ জনের প্রাণহানি : যাত্রী কল্যাণ সমিতি ‘ঘেউ ঘেউ করার জন্য ইউরোপ টোকাইয়া মাত্র ২০টা লোক পাইলো!’ মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় ছেলের হাতে বাবা খুন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর নিজের গলাকেটে আত্মহত্যার চেষ্টা ইরানের হামলার আশঙ্কায় বাগদাদের দূতাবাস থেকে কর্মী সরালো যুক্তরাষ্ট্র

বন্ড মার্কেটে সঞ্চয়পত্র ছাড়ার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

রিপোর্টারের নাম / ১১৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪, ৫:৫০ অপরাহ্ন

টাকার সংকটের কারণে কিছু ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নিচ্ছে। আবার সরকার বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। প্রতি বছর সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমেও বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়।  এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক নির্ভরশীলতা কমাতে সঞ্চয়পত্র বন্ড মার্কেটে ছাড়ার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন সুপারিশ করা হয়েছে। ‘সরকারি সিকিউরিটিজ প্রতিবেদন ২০২২-২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। প্রতি বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, টাকার সংকটের কারণে গড়ে প্রতিদিনই কিছু ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার করছে। গড়ে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে ধার করা হচ্ছে।

এর অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, খেলাপি ঋণ আদায় কমে যাওয়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাজারে ডলার বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়া, এটা গত কয়েক মাস ধরেই ব্যাংকিং খাতে চলে আসছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের ঋণের জোগান এখনো ব্যাংক খাতনির্ভর। মোট ঋণের ৬২ শতাংশই নেওয়া হয় ব্যাংক খাত থেকে। আইএমএফ ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ কমিয়ে বন্ড মার্কেটের মাধ্যমে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি ঋণ নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এটি করতে সরকার বন্ড মার্কেট উন্নয়ন করছে। বর্তমানে বন্ড মার্কেটে সরকারের বিভিন্ন ধরনের ট্রেজারি বিল ও বন্ড বেচাকেনা হচ্ছে। এগুলোর বেশির ভাগই ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা কোম্পানিগুলো বেচাকেনা করে। ব্যক্তি ও অন্যান্য করপোরেট প্রতিষ্ঠান এখনো এই খাতে বিনিয়োগ করছে না।

এই খাতে ব্যক্তি ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে আসার জন্য সব ধরনের আকর্ষণীয় বন্ড মার্কেটে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এর অংশ হিসেবেই সরকারি খাতের সঞ্চয়পত্র ও সঞ্চয়ী বন্ডগুলো মার্কেটে নিয়ে আসা হবে। এগুলো এখনো বন্ড মার্কেটে বেচাকেনা হচ্ছে না। এখনো এসব সঞ্চয়পত্রে স্থায়ীভাবে সবচেয়ে বেশি মুনাফা দেওয়া হয়। এছাড়া রয়েছে সরকারি খাতের গ্যারান্টি। এসব কারণে সঞ্চয়ী উপকরণের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা রয়েছে। এসব বন্ড বাজারে এলে বিনিয়োগ আগমন বেশি হবে। কারণ তখন সঞ্চয়পত্র বা সঞ্চয়ী বন্ডের ক্রেতারা নিজেদের প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে এগুলো বিক্রি করে টাকা নগদায়ন করতে পারবে।

বর্তমানে এগুলো মেয়াদপূর্তির আগে বিক্রি করতে হলে ব্যাংক বা সঞ্চয় ব্যুরোতে যেতে হয়। বিক্রি করে অর্থ তুলে আনাও সময়সাপেক্ষ। আবার মুনাফা পাওয়া যায় কম। এসব ঝামেলা এড়াতে এগুলো বন্ড মার্কেটে সহজেই বিক্রি করা যাবে। তখন মুনাফাও বেশি পাওয়া যাবে। কারণ বন্ড মার্কেটের ঘোষিত মুনাফার চেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে ডলার-সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলারের জোগান দিতে হয়েছে। এতে তারল্যের একটি বড় অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে গেছে। এসব তারল্য আবার ট্রেজারি বিল কিনে নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে রেপো নিলামের প্রবণতা বেড়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir