যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা ঠেকাতে হাটিকুমরুল গোলচত্বরে তৈরি হচ্ছে আর্ন্তজাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইন্টারচেঞ্জ। ভূমি অধিগ্রহণ শেষে চলছে পাইলিংয়ের কাজ। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে উত্তরাঞ্চলে প্রবেশের এই চাররাস্তার মোড়ে যানজট থাকবে না। গতি আসবে সড়ক যোগাযোগে।
দৃষ্টিনন্দন ইন্টারচেঞ্জে আলাদা লেনে চলবে গাড়ি, ধীর গতির যানবাহনের জন্য থাকবে আলাদা লেন। পথচারীদের জন্য ওয়াকওয়ের পাশাপাশি প্রকল্পে আছে কয়েকটি ব্রিজ, কালভার্ট, আন্ডারপাস ও ফ্লাইওভার। সিসি ক্যামেরার নিরাপত্তা থাকবে এলাকাজুড়ে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের সময় বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত বিশাল যানজট দেখা যায়। এটা উন্নত মানের ইন্টারচেঞ্জ। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে উত্তরাঞ্চলের এই প্রবেশমুখে যানজটের ভোগান্তি থাকবে না। দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে কৃষিপণ্য।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, পাবনা, বগুড়া এবং সিরাজগঞ্জে যে লেনগুলো আছে সেই লেন দিয়ে আলাদা আলাদা গাড়ি চলবে। সেক্ষেত্রে এটি একটি দৃষ্টিনন্দন ইন্টারচেঞ্জ হবে। আর এই ইন্টারচেঞ্জের কারণে ওই অঞ্চলে যে দুর্ঘটনা হতো সেই দুর্ঘটনা অনেকাংশই কমে যাবে।
ওসি বলেন, গাড়ির চাপ থাকলে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা যানজট লেগে থাকত। এই ইন্টারচেঞ্জ ৬ লেন হওয়ার কারণে অনেকাংশেই মানুষ নির্বিঘ্নে গন্তব্যস্থলে যেতে পারবে।
এদিকে গুণগত মান ঠিক রেখে অত্যাধুনিক এ ইন্টারচেঞ্জের কাজ দ্রুত শেষ করার কথা জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুবুল আলম বলেন, ‘এই প্রকল্পের মধ্যে ইন্টিলিজেন্স ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) নামে একটি কমপোনেন্ট আছে। এটার মাধ্যমে প্রতিটি লেনে ক্যামেরা বসানো থাকবে এবং প্রতিটি গাড়ির সাইজ, অকোপেন্সি, লাইসেন্স এগুলো আমরা ডিটেক্ট করতে পারব।’
প্রায় ৭৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ইন্টারচেঞ্জটি নির্মাণ করছে চীনের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।