বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন

ছয় মাসে শুল্ক অব্যাহতি ২৪ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা

রিপোর্টারের নাম / ১৩২ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪, ৩:৪১ অপরাহ্ন

চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ২৪ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা শুল্ক অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে অব্যাহতির পরিমাণ ছিল ৩১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় ব্যবসায় সুরক্ষা দিতে বিভিন্ন প্রজ্ঞাপন ও বিশেষ আদেশের মাধ্যমে শুল্ক অব্যাহতি দিচ্ছে এনবিআর। কিন্তু এর পরও স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম কমছে না।

এনবিআরের তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সবচেয়ে বেশি শুল্ক অব্যাহতি দেয়া হয় মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে, যা প্রায় ৪ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আমদানিতে ৩ হাজার ৬১ কোটি টাকার শুল্ক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বিশেষ অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ১ হাজার ২৯০ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমদানি কম হয়েছে, তাই অব্যাহতিও কমেছে। এনবিআর কোনো বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে কমিয়েছে কিনা, সেটা দেখা দরকার। যদি কোনো প্রচেষ্টার মাধ্যমে অব্যাহতি না কমানো হয়, তাহলে অব্যাহতি আবার বেড়েও যাবে।’ এ বছর মূলধনি যন্ত্রপাতি কম আমদানি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে শুল্ক অব্যাহতির পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা কম। ডলার সংকটের ফলে আমদানি কমে যাওয়ার কারণে অব্যাহতির আকারও তুলনামূলক ছোট হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বছর শেষে এর আকার বড় হতে পারে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সম্প্রতি বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বিভিন্ন জায়গা থেকে ভর্তুকি বা প্রণোদনা প্রত্যাহার করতে হবে। এতে আমাদের ব্যবসা, উৎপাদন বা শিল্পের সক্ষমতা কমে যাবে বলে আমি মনে করি না, বরং তা আরো বেশি সক্ষম হবে। সহায়তা উঠিয়ে নেয়া মানেই দেশের শিল্প খাতের সক্ষমতা তৈরি করা।’

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংস্থাটি ৪৭ হাজার ১৬০ কোটি টাকা শুল্ক অব্যাহতি দেয়, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৪৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা।

এনবিআর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য আমদানি-রফতানি পর্যায়ে শুল্ক আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ১ লাখ ১৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত ছয় মাসে আদায় হয়েছে ৪৯ হাজার ৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir