সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাইকপাড়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে রাতের আধারে আবাদি জমিতে ড্রেজার বসিয়ে মাটি কেটে জোড়পূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার ৯ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২২ শতক আবাদি জমি খনন করে ডোবা বানিয়ে ফেলা হয়েছে।
কৃষক ঠান্ডু ও তার মামা শিমুল জানান, দক্ষিণ পাইকপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান ঠান্ডুর ২২ শতক ও তার মামা কৃষক শিমুলের ২১ শতক করে মোট ৪৩ শতক জায়গায় ধান চাষাবাদ করতেন তারা। অসহায় দুই কৃষকের জমির পাশ দিয়ে মানুষের যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয় ইউপি সদস্য মতিউর রহমান। এতে সহমত পোষণ করে কৃষক ঠান্ডু ও তার মামা শিমুল। মানুষ চলাচলের জন্য যতটুকু জায়গা প্রয়োজন তাদের রেকর্ডভুক্ত সম্পত্তি থেকে ততটুকু জায়গা দিতে রাজি হয় তারা। এতেও সন্তুষ্ট না হয়ে দক্ষিণ পাইকপাড়া গ্রামের হাওয়ালদার পাড়ার মানুষজনদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে রাতের আধারে দুই কৃষকের জমিতে ভেকু মেশিন বসিয়ে মাটি কেটে প্রয়োজনের চেয়েও বেশি (১২ ফিট) প্রস্থের একটি রাস্তা তৈরি করেন ইউপি সদস্য মতিউর রহমান। ইউপি সদস্য তার ক্ষমতার জোরে এমন কাজ করেছে বলে অভিযোগ করছেন জমির মালিক ও কৃষকেরা।
দক্ষিণ পাইকপাড়া এলাকার রেজাউল ও মনির নামে স্থানীয়রা জানান, ছোটবেলা থেকে শুরু করে এই বছর অবধি দেখে আসছি ওই জমিতে ঠান্ডু ও শিমুল কাকারা চাষাবাদ করতো। তবে কিছুদিন আগে জমিতে রাতের আধারে মতিউর মেম্বর ও তার সহযোগীরা মিলে ভেকু মেশিন বসিয়ে জমি থেকে মাটি কেটে ডোবা বানিয়ে ফেলেছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মতিউর রহমান বলেন, মাটি কাটা’র ঘটনাটি সত্য। এভাবে আবাদি জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়াটা ভুল হয়েছে। তবে হাওয়ালদারপাড়া’র মানুষজনদের চলাচলের জন্য একটি রাস্তার প্রয়োজন ছিলো। এর জন্যই মূলত রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান খুব দ্রুতই একটি সমাধান দেবে বলে জানিয়েছে।
সোনামুখী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী জানান, শুক্তবার সকালে আমি নিজে গিয়ে ঘটনাস্থলে সব কিছু দেখে এসেছি। খুব তাড়াতাড়ি মেম্বর ও কৃষকদের নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করবো।