মিয়ানমারে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে, এমন দাবি জানিয়েছেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। সামরিক জান্তা সরকার বলছে, এই ভোটের মাধ্যমে দেশটির জন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে নতুন একটি যুগের সূচনা হবে। তবে ভোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় ভোটকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়। ভোটাররা ইয়াঙ্গুন ও মান্ডালয়ের মতো বড় শহরের কেন্দ্রগুলোতে ভোট দিতে আসতে শুরু করেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং রাজধানী নেপিডোয় ভোট দিয়েছেন। পরে তিনি বলেন, 'নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হচ্ছে। আমরা নিশ্চিত করছি যেন এটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।' তিনি আরও বলেন, 'এই নির্বাচন আয়োজন করছে সামরিক বাহিনী, আমরা আমাদের নাম কলঙ্কিত হতে দিতে পারি না।'
এছাড়া সংসদই দেশটির রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবে বলেও জানিয়েছেন মিন অং হ্লাইং।
এদিকে জাতিসংঘ, কিছু পশ্চিমা দেশ ও মানবাধিকার গোষ্ঠী এই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু বা বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্ন তুলেছেন। কেননা, জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না।
মিয়ানমারে ২০২০ সালে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) জয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। ক্ষমতাচ্যুত নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চি গ্রেফতার হন। তাকে এখনও মুক্তি দেওয়া হয়নি। এছাড়া তার রাজনৈতিক দলকেও বিলুপ্ত করা হয়েছে।।
প্রকাশক : সোহেল রানা সম্পাদক: আব্দুস সামাদ সায়েম
©২০১৫-২০২৫ সর্বস্ত্ব সংরক্ষিত । তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত (নিবন্ধন নং-২১০)