বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৫তম জাতীয় সমাবেশ আজ শনিবারের মধ্যে জিম্মিদের ফেরত না দিলে গাজায় আবার যুদ্ধ শুরু: নেতানিয়াহু হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য নানা জটিলতা তৈরি করেছে: শশী থারুর ৩৫০০ কোটি টাকার নকশিপল্লী প্রকল্প হচ্ছে ২০০ কোটিতে কাওয়াকোলায় কৃষকদলের কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিশেষ কম্বিং অপারেশনে ৭৬ কোটি টাকার অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ সিংড়ায় ‘৮২ বছর’ পুরোনো মাছ ধরা উৎসব নাটোরে বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি বর্ষণে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক গ্রেপ্তার গণঅভ্যূত্থানে তিন শহীদ পরিবারকে জেলা পরিষদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অদম্য নারী, বিভাগীয় সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক তপুর মা আছিয়া

গরীবের রক্ত চুষছে অবৈধ ইটভাটার মালিক প্রিন্স

রিপোর্টারের নাম / ৩৮২ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ৯:৪১ অপরাহ্ন

পর্ব-২

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে গড়ে তোলা অবৈধ তিনটি ইটভাটার মালিক তানজিত হাসান সিদ্দিকী প্রিন্স ইটভাটার মাধ্যমে যেন গরীব মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, স্বল্প মুজরী দিয়ে শ্রমিকদের রক্ত ও কৃষি জমি নষ্ট করে কৃষকের রক্ত চুষে নিয়ে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে নিজে শহরের ইলিয়ট ব্রীজের দক্ষিন পাশে বিলাসবহুল বিল্ডিং নির্মাণ করে আলীশান জীবনযাপন করছে। শুধু তাই নয় লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে তিনটি ইটভাটা পরিচালনা করে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্বও ফাঁকি দিচ্ছে। এছাড়াও মানুষের জীবনের মুল্যেও নেই প্রিন্সের কাছে। কেউ আহত বা নিহত হলে নাম মাত্র চিকিসা খরচ দিয়ে ভুক্তভোগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দমিয়ে রাখছে। প্রিন্সের ইটভাটার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো দ্রুততার ইটভাটা গুড়িয়ে দেবার দাবী জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ইটভাটার মালিক তানজিত হাসান সিদ্দিকী প্রিন্স একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ লিপিতে বলেছেন, বর্তমানে ইটভাটার লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছে। যেহেতু গত দুই বছর যাবত লাইসেন্স নবায়ন নাই সেহেতু আইনগতভাবে তার ইটভাটা তিনটিই অবৈধ। তবে জেলা প্রশাসনের তালিকায় দেখা গেছে। তার তিনটি ইটভাটার মধ্যে একটির নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২২ সালে। অন্য দুটি ইট ভাটার কোন লাইসেন্স নেই। প্রতিবাদ লিপিতে প্রিন্স উল্লেখ করেছে, অনেক মানুষের রুটি-রোজগার জড়িত রয়েছে তার ইটভাটার সাথে। বিষয়টি অন্যের গলাকেটে নিজের যাত্রা শুভ করার মতো। গুটিকয়েক লোককে স্বল্প মুজুরী দিয়ে রুটি-রুজির দোহাই দিয়ে মুলত শ্রমিকদের সে রক্ত চুষে চুষে খাচ্ছে। আর মাটির টপসয়েল কেটে হাজার হাজার কৃষকের ফসলি জমি ও ফসল নষ্ট করছে। হাজার হাজার মানুষ তার ইটভাটার ধোয়ার কারনে অকাল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। তবে অবৈধ ইটভাটা চালালেও প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর অজ্ঞাত কারনে নীরব রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রিন্সকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল গফুর বলছেন, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

 

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir