সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন

বিয়ের দাবিতে সায়েমের বাড়িতে ২ সন্তানের জননীর অনশন

অনলাইন ডেস্ক: / ১২৩ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪, ১২:০২ অপরাহ্ন

কুমিল্লার তিতাসে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক নারী। তার দুই সন্তান আছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে উপজেলার আলীর গাঁও গ্রামে প্রেমিক সায়েমের বাড়িতে অনশনে বসেন এই দুই সন্তানের জননী।

অভিযুক্ত সায়েম একই গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। এ ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি। ভুক্তভোগী নারী স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি বাবার বাড়িতে থাকতেন। তার ১টি মেয়ে ও ১টি ছেলে সন্তান রয়েছে।

জানা গেছে, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় সায়েমের সঙ্গে। এরপর থেকে তাদের দুজনের মোবাইল ফোনে কথা হয়। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাওয়া ও শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে তাদের। একসময় বিয়ের জন্য ওই নারী সায়েমকে চাপ দিতে থাকেন। তখন নানা টালবাহানা শুরু করেন অভিযুক্ত সায়েম।

গত বুধবার প্রেমিক সায়েমের সঙ্গে এক পাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এরপরই পাত্রী পক্ষ স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারে সায়েমের একটি প্রেমের সম্পর্ক আছে। পরে সায়েমের সঙ্গে ওই পাত্রীর বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। এ খবর পেয়ে ওই নারী বৃহস্পতিবার সকালে ছুটে আসেন প্রেমিক সায়েমের বাড়িতে। তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন তিনি।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, বিয়ের আশ্বাসে আমার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক করেছে সায়েম। এখন বিয়ে না করলে আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারব না। মরা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। সে আমাকে বিয়ের প্রোলভন দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে।

এদিকে, অভিযুক্ত প্রেমিক সায়েম বাড়ি থেকে আত্মগোপনে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের বলেন, এই নারীর সঙ্গে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। আমি নিজেই টাকা ইনকাম করি, আমি কেন তার কাছ থেকে টাকা নেব? এসব অভিযোগ মিথ্যা। যদি এর সত্যতা বা প্রমাণ দেখাতে পারে তাহলে আমি তাকে বিয়ে করব।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত সায়েম ও তার পরিবার আমাকে বিয়ের আশ্বাস বা মেনে না নেবে আমি এখানেই অবস্থান করব। আমার জীবন থাকতে এখান থেকে সরে যাব না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো ওই নারী অভিযুক্ত সায়েমের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য গিয়াস উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে আমি খবর পেয়েছি। দুপক্ষের মধ্যে সমাধান করার চেষ্টা চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir