শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় ৭০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
উচ্চ আদালত থেকে জামিনের আদেশ পাওয়ার পর মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা কন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তিপান তিনি।
এর আগে সোমবার বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পৃথক তিনটি জামিননামা সম্পাদন করেন সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ। গত ২৭ আগস্ট দুপুরে উচ্চ আদালতের ১১নং বেঞ্চ থেকে তিনিসহ কারাগারে থাকা ৪৬ বিএনপি নেতাকর্মীর জামিন দেওয়া হয়।
এদিকে হাবিবুল ইসলাম হাবিব জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সাতক্ষীরাসহ তালা-কলারোয়া এলাকার শতাধিক নেতাকর্মী তাকে স্বাগত জানানোর জন্য কেরানিগঞ্জের ঢাকা কন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় জমান।
এ সময় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসান, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল হাসান হাদি, জেলা যুবদলের প্রধান সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টা, যুবনেতা মোস্তাক অহম্মেদ প্রমুখ নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ বলেন, ২০০২ সালে কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর কলারোয়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে পৃথক তিনটি চার্জশিট দাখিল করেন, যার প্রেক্ষিতে আদালত সাবেক এমপি হাবিবসহ ৫০ বিএনপি নেতাকর্মীকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবকে সর্বোচ্চ ৭০ বছরের সাজা দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দি বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। ইতোমধ্যেই এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে চারজন বিএনপি নেতাকর্মী কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন।