রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চারঘাট ও বাঘার পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক উজ্জল কাজিপুর পুজা মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ জয়পুরহাটে অতিরিক্ত জেলা জজ-১ম আদালতের রেকর্ড থেকে রায় আদেশ গায়েব “ চারঘাট প্রেসক্লাব সদস্যদের সাথে উপজেলা বিএনপির মতবিনিময় সভা আইসিটি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিবের সিরাজগঞ্জে পুজামন্ডপ পরিদর্শন ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক আ হ মুহাম্মদ খোকনের জন্মদিন পালন ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, চিন্তায় জেলেরা ‘আমাকে এখন পর্যন্ত কেউ দেখতে আসেনি, কারণ পরিবারে কেউ নেই’ শেষ মুহূর্তে ইলিশ কিনতে ক্রেতাদের লাইন, কেজি ২৭০০ টাকা বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক হাসনাত, ফেসবুকে জানালেন সারজিস

আপনি আরেকটা হাসিনা হয়ে উঠার প্রক্রিয়ায় আছেন: ফারুকী

অনলাইন ডেস্ক: / ৫০ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯:০৮ অপরাহ্ন

ছাত্র আন্দোলনের প্রথম থেকে তাদেরকে সমর্থন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ছিলেন পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বিভিন্ন সময় পোস্ট দিয়ে তাদের উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। এবার এক পোস্ট দিয়ে জানান যে, আপনি যদি মনে করেন আমরা আর আমার কতিপয় অনুসারীই দেশের ভালো কিসে হবে সেটা সবচেয়ে ভালো বুঝি, তাহলে আপনি আরেকটা হাসিনা হয়ে উঠার প্রক্রিয়ায় আছেন।

গতকাল (সোমবার) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে আমরা কীভাবে মনস্টার হয়ে উঠতে সাহায্য করলাম? কারা তাকে মনস্টার বানালো? বাংলাদেশের সো কলড নাগরিক সমাজ। “বিএনপি ঠেকাও” (যদিও তারা মুখে বলতো বিএনপি-জামাত, কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা জানতো ভোটে জেতার সক্ষমতা বিএনপির বেশী, তাই বিটুইন দ্য লাইন ছিল বিএনপিই) মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ নাগরিক সমাজ হাসিনাকে যা ইচ্ছা তা করার লাইসেন্স দিয়েছে।’

দেশের রাজনীতি প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এই আত্মসমালোচনাটা বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ যদি না করে তাহলে ভবিষ্যতেও আমরা এইরকম মনস্টার জন্ম দিতেই থাকবো। আমরা মুখে গণতন্ত্র বলি, কিন্তু আমাদের বগল মে “ঠেকাঠেকি”! দেখেন যে কেউ যে কাউকে ঠেকাতে চাইতেই পারে। এটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার। এর জন্য সে প্রচার চালাতে পারে, জনমত গঠন করতে পারে। কিন্তু গোলমাল দেখা দেয় যখন এই ঠেকাঠেকিটা করা হয় ভোট ডাকাতি বা ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার মাধ্যমে।’

এরপর লিখেছেন, ‘আমাদের আদি পাপ এখানে। এই ঠেকাঠেকি অধিদপ্তর থেকেই গুম-খুন-ব্যাংক লুট-লক্ষ কোটি টাকা পাচার-রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার লাইসেন্স বা সম্মতি দেয়া হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। সময় আসছে বোঝার বাংলাদেশের মানুষ জানে কখন কাকে ঠেকাতে হবে। ৯৬তে সে বিএনপিকে ঠেকায় নাই? ২০০১য়ে আওয়ামী লীগকে ঠেকায় নাই? ২০০৮য়ে আবার বিএনপিকে ঠেকায় নাই? তারপরতো আর জনগণকে সুযোগই দেয়া হয় নাই। ফলে সময় এসেছে ঠেকাঠেকির দায়িত্ব জনগণের হাতে তুলে দিয়ে এই আদিপাপ থেকে বের হয়ে আসার ‘

ফারুকীর ভাষ্য, ‘প্রশ্ন আসতে পারে, জনগণ যদি ভুল লোককে নির্বাচিত করে? ভুল শক্তি সরকারে আসে? গরিষ্ঠের শাসন মানলে আপনাকে এটা মেনে নিতেই হবে। মেনে নিয়ে আপনি ভুল লোকের ভুল কাজের তীব্র সমালোচনা করবেন, প্রতিবাদ করবেন, আদালতে যাবেন! তাকে লাইনে রাখার জন্য যা যা করা দরকার সবই করবেন। এবং পরের ভোটে ঠেকিয়ে দিবেন। এটার নামই গণতন্ত্র।’

শেষে বলেন, ‘আর তা না করে আপনি যদি মনে করেন আমরা আর আমার কতিপয় অনুসারীই দেশের ভালো কিসে হবে সেটা সবচেয়ে ভালো বুঝি, তাহলে আপনি আরেকটা হাসিনা হয়ে উঠার প্রক্রিয়ায় আছেন। কানে বাজে এখনো তার কথা, “আমার চেয়ে এই দেশের ভালো কে বেশি বোঝে”?’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir