নাটোরের বড়াইগ্রামে বুলু বেগম (৩৮) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বড়াইগ্রাম উত্তরপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধুর স্বামীকে আটক করেছে। বুলু বেগম বড়াইগ্রাম উত্তরপাড়া গ্রামে আব্বাস আলীর স্ত্রী ও গুরুদাসপুর উপজেলার তেলটুপি গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের মেয়ে।
ওই গৃহবধুর মা মানেকা বেগম বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে পারিবারিক ভাবে বুলু বেগমের সাথে আব্বাস আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জামাই আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো। সে একবার গোপনে অন্য এক মেয়েকে বিয়েও করেছিল। সোমবার তিনবার আমার মেয়েকে মারপিট করেছে। রাতে নির্যাতন করে আমার মেয়েকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে রেখেছে। অথচ তার দুই পা মাটির সঙ্গে ভালভাবে লেগে রয়েছে। এভাবে কোন মানুষ ফাঁস নিয়ে মরে না। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
নিহতের মেয়ে আতিয়া খাতুন বলেন, সোমবার রাত নয়টার দিকে সবাই ঘুমিয়ে যাই। রাত দুইটার দিকে বাবা অসুস্থ্য হলে মাথায় পানি দিয়ে রাত তিনটার দিকে আবার ঘুমাই। সকালে চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে বাইরে গিয়ে দেখি আমার মায়ের গলায় ফাঁস নেয়া লাশ, কিন্তু তার দুই পা মাটিতে রয়েছে। আব্বাস আলী বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। সকালে উঠে গিয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।