নিজস্ব প্রতিবেদক:
এস.এম. ওয়াজেদ আলী। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার নাসরিন ওয়াজেদ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ পদে চাকুরী করতেন। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে শহরের মাছুমপুর মহল্লায় গড়ে তুলেছেন পাঁচতলা বিশিস্ট ভবন। বর্তমানে কোটি কোটি টাকা দিয়ে ডেভেলপারের কাজ করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, দুর্নীতির কারণে কলেজ থেকে চাকুরীচ্যুতও হয়েছেন। অবিলম্বে দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে তদন্তপুর্বক এই সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৯৫সালে কামারখন্দ মহিলা ডিগ্রী কলেজটি প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ অক্টোবর এস.এম ওয়াজেদ আলী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে কলেজটি এমপিও ভুক্ত হয়। অভিযোগ ওঠেছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন কলেজে প্রায় ৪১জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। প্রতিজনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এজন্য এলাকাবাসীর রোষানলে পড়ে ২০১১ সালে তিনি কলেজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন এবং সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন ২০১৬ সালের অবসরে যান। অবসরে গেলেও এখনো অবসরকালীন ভাতা পাননি। সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন ২০১৪ সালের শেষের দিকে এস.এম. ওয়াজেদ আলী আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতা ব্যবহার করে ক্ষমতার দাপটে বিধিবহির্ভূতভাবে, কারচুপি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে কলেজের নাম পরিবর্তন করে নাসরিন ওয়াজেদ মহিলা কলেজ নামে নাম পরিবর্তন করেছেন। কলেজের শিক্ষকদের অভিযোগ, মাত্র ১৪ বছর পুর্নাঙ্গ অধ্যক্ষ পদে এবং ৪ বছর সাময়িক বরখাস্তবস্থায় অর্ধৈক বেতনে চাকুরী করেছেন। এখন পর্যন্ত অবসরকালীন ভাতা পাননি। এ অবস্থায় শহরের মাছুমপুর মহল্লায় ৫তলা ভবন নির্মান করেছে। নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিয়ে অধ্যক্ষ থেকে কোটিপতি বনে গেছেন তিনি।
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এস.এম. ওয়াজেদ আলী অধ্যক্ষ থাকাকালীন ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। তিনি নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করে মাছুমপুর বহুতল ভবন নির্মান করেছেন। শুধু তাই নয়, কোটি কোটি দিয়ে মাছুমপুরেই একটি দশতলা বিশিস্ট বিল্ডিংয়ের ডেভেলপারর কাজ করছেন। এলাকাবাসী অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ অবৈধ সম্পদের মালিক এস.এম. ওয়াজেদের বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক জানান, এস.এম. ওয়াজেদ অধ্যক্ষ থাকাকালীন ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়ম করেছেন। অনিয়ম-দুর্নীতির কারনে এলাকাবাসী, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের গনস্বাক্ষরে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিল। বরখাস্ত থাকাকলীন দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলেজের নাম পরিবর্তন করেছেন। নাম পরিবর্তনের জন্য ব্যাপক জালিয়াতি ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। কলেজের নাম পরিবর্তনের ১৫ লক্ষ টাকা জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। তিনি ১৫ লক্ষ টাকা একদিন জমা দিয়েছেন, পরদিন আবার সেই টাকা তুলে নিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে এস.এম. ওয়াজেদ আলী জানান, দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে শোনার আমার শোনার সময় নাই।