সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলায় বৃশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অপরাধে সেনাবাহিনীর হাতে কামরুল ইসলাম আটক হয়েছে। আটককৃত কামরুল ইসলামকে পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়া বেড়া গ্রামের মন্ডল সমাজের প্রধান স্হানীয় জামায়াত নেতা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিম, বর্তমান সদস্য ও সাবেক বিএনপি নেতা আব্দুল বারিক মেম্বারের প্রত্যক্ষ মদদে তার ছোট ভাই কামরুল ইসলাম, সরুজ মন্ডল এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় নিরিহ মানুষের ঘর- বাড়ী ভাংচুর, বিভিন্ন লোকজনকে মারধর চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে গত ৭ আগষ্ট একই গ্রামের রেজাউল মুন্সি ও তার ভাইদের বাজারের দোকান ঘরের মালামাল লুট করে দখল করে নেয় তারা এ ছাড়াও গয়নাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী শফিকুল ও মেঘুল্লা গ্রামের কসমেটিক দোকানের মালিক সাকিল আহম্মেদকে বেদরক মারধর করেন। বিশেষ করে ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়ন পরিষদের টিসিবি ও নায্য মূল্যের চালসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কার্ড স্থানীয় আওয়ামীগীগ নেতা ও হেলাল চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ মো: নজরুল ইসলাম (নজু)ও স্থানীয় জামায়াত নেতা হেলাল সরকারের সাথে সিন্ডিকেট করে বিক্রি করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের ভয়ে বেশি আতঙ্কিত। আব্দুল জলিল সরকার এবিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন, অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২০ অক্টোবর সরকারী নায্যমূল্যের কার্ডের চাল কেনাকে কেন্দ্র করে কামরুল ও সরুজ হিন্দু সম্প্রদায়ের লারু শাহ ও তার ছেলে পলাশ শাহকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে নিরিহ কৃষক মোঃ জলিল সরকারকে বেদরক পিটুনি দেয়, এতে সে গুরুতর ভাবে আহত হয়। এর আগে একই গ্রামের মো. ওয়াসীমের বালুর ব্যবসা অবৈধ ভাবে দখল করে নেয় এবং তাকে মারধর করে, তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী আসামি কামরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।