সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতিবন্ধীকতাকে হারিয়ে আত্ম প্রত্যায়ী জাহিদুল পেলেন জাতীয় যুব পুরুস্কার। গত শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় যুব দিবসে যুব ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর তাঁকে এ সম্মানে ভ‚ষিত করেন। তাড়াশ উপজেলা যুব উন্নয়ন দপ্তরের সহযোগীতায় নিজ প্রচেষ্টার দ্বারা আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে সফল যুবকে পরিনত হওয়ায় তিনি এ পুরুস্কার পান।
জাহিদুল হাসান উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের চরকুশাবাড়ি গ্রামের মৃত এন্তাজ আলী প্রামানিকের ছেলে। জাহিদুল হাসানের সাথে কথা বলে জানা যায়, জন্মগত ভাবেই তাঁর ডান হাত ও ডান পা অকেজো। শারীরিক এ অসুবিধা থাকা সত্তে¡ও প্রবল মনোবল নিয়ে পড়া-লেখা করে ২০০১ সালে দাখিল পাস করেন। এর পর তাড়াশ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নেন। পরে ওই কার্যালয় থেকে ঋণ নিয়ে তিনটি গরু কিনে ছোট্র একটি খামার শুরু করেন। এর পর থেকে তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দিন দিন বড় হতে থাকে তাঁর গরুর খামার। শুরু হয় তাঁর সফলতার গল্প। বদলে যেতে থাকে তাঁর আর্থিক অবস্থা। ছয় ভাই-বোন ও মাকে নিয়ে যে অভাবের সংসার তা আজ স্বচ্ছলতার দ্বারে পৌছেছে।
তিনি আরো বলেন, শারীরিক সমস্যা নিয়েও আমি নিজ কর্ম প্রচেষ্টায় আমার দারিদ্রতাকে জয় করেছি। আর তার স্বীকৃতি স¦রুপ জাতীয় যুব দিবসে যুব ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্ত আমাকে এ সম্মানে ভ‚ষিত করেছেন। গত শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইঞা ও তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের উপস্থিতিতে আমাকে এ সম্মানা প্রদান করা হয়। এ সম্মানে আমার কর্ম উদ্দীপনা আরো বেড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, তাড়াশ উপজেলায় কোন আত্ম প্রত্যায়ী যুবকের এ ধরণের পুরুস্কার এই-ই প্রথম। শারীরিক সমস্যা তাঁর অদম্য মনবলকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। জাহিদুল হাসানের সফলতা আমাদেরও গর্বিত করেছে। সে এখন উপজেলার বেকার যুবকদের অনুপ্রেরণার প্রতীক।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্শকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, জাহিদুল হাসানের এমন সাফল্য তাড়াশ তথা দেশের যুব সমাজকে আত্ম প্রত্যায়ী হতে উৎসাহীত করবে।