স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মানের দাবীতে ১০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে মহাসড়ক ছেড়েছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের রবীন্দ্র ভবন-৩ এর সামনে মহাসড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষনা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী রায়হান উদ্দিন ও মুমিন উদ্দিন মালা বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবীতে ২০ জানুয়ারী থেকে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে শিক্ষক-কর্মচারীসহ শাহজাদপুর অন্যান্য স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও সচেতন মহলও মাঠে নেমেছে। এ অবস্থায় ২৯ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ডিপিপি অনুমোদিত হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাই প্রত্যক্ষভাবে আন্দোলন স্থগিত ঘোষনা করা হলো। একই সাথে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখের মধ্যে প্রি একনেক-এ ডিপিপি অনুমোদন করে একনেক-এ পাঠানোর দাবী জানান এবং ১০ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে যদি ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ডিপিপি পাসের কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রয়োজনে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে সংবাদ সম্মেলনে আল্টিমেটাম দেয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, ক্যাম্পাস হলো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রয়স্থল, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী তার নিজের ক্যাম্পাসে মনখুশি মতো বিচরন করবে, সৃজনশীলতায় মত্ত থাকবে। কিন্তু আমরা একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকায় এবং স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় সেই অনুভুতির স্বাদ গ্রহন করতে পারেনি। মহিলা কলেজ, পার্টি সেন্টার ভাড়া করে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাদ আস্বাদন করা যায়? বিচ্ছিন্নভাবে এখানে-সেখানে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। যা একজন শিক্ষার্থীর সুস্থভাবে বেড়ে উঠার অন্তরায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস.এম. হাসান তালুকদার জানান, ২৯ জানুয়ারী রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৫৯৯৫০লক্ষ টাকা এবং মেয়াদকাল মার্চ-২০২৫ থেকে ফেব্রুয়ারী ২০২৯ পর্যন্ত ধরে পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরন এবং ডিপিপি অনুমোদন প্রক্রিয়াকরনের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করছি প্রি-একনেক ডিপিপি অনুমোদন করে একনেকে পাঠানের ব্যবস্থা করবেন এবং স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মানে অর্থ বরাদ্দ প্রদান করবেন।