রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
শিল্পপতি ও নারী উদ্যোক্তা রুহী আফজাল একজন বিএনপির কর্মী। ২০১৬ সালে তিনি ঢাকায় বিএনপির সদস্য ফরম পুরন করে বিএনপির রাজনীতি প্রবেশ করেন। রুহী আফজাল সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের প্রয়াত সাবেক এমপি আফজালুর হক তালুকাদরের মেয়ে। সদস্য হবার পর ফ্যাসিস্ট আমলে প্রকাশ্যে রাজনীতির মাঠে না নামলেও সিরাজগঞ্জের বিএনপির নানা কর্মসুচী বাস্তবায়নে নেপথ্যে সহযোগিতা করেছেন। তিনি কখনো আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন উত্তোলন করেনি। তবে তার বড় বোন রিটাকে আফজাল একাধিকবার আওয়ামীলীগের মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন। রুহী আফজাল রায়গঞ্জে বেকারত্ম দুর করতে মিলকারখানা স্থাপন করে অসংখ্য যুবকের কর্মের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন।
রুহী আফজাল জানান, শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০১৬ সালে বিএনপির সদস্যপুরন করে বিএনপির রাজনীতি প্রবেশ করেছি। এরপর নেপথ্যে থেকে ঢাকা, সিরাজগঞ্জ ও রায়গঞ্জে বিএনপির কর্মসুচী বাস্তবায়নে আর্থিকসহ নানাভাবে সহযোগিতা করেছি। তিনি জানান, আমি বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে বিএনপির রাজনীতি প্রবেশ করেছি। আমি কখনো আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন উত্তোলন করেনি। আমি মুলত ক্ষমতা ভোগ নয় দল এবং সাধারন মানুষের জন্য কাজ উদ্দেশ্যেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেছি। বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলঙ্গায় কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ৫ আগষ্টের পর বিএনপির একটি সুবিধাবাদী গ্রুপ ত্যাগী নেতাদের অবমুল্যায়ন করছে। ত্যাগীরা যেন সঠিকভাবে মুল্যায়িত হয়ে দলের জন্য কাজ করতে পারে সে জন্যেই তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শ নিয়ে ৫ আগষ্টের পর থেকে সরাসসরি কাজ করার জন্য মাঠে নেমেছি। ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। প্রতিটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ ও বৈঠক শুরু করেছি। আমার কাজকর্মের প্রতি ঈর্ষানিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাকে আওয়ামীলীগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিভিন্ন মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন। এসব নিউজের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রুহী আফজাল বলেন, তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলঙ্গা আসনে যাকে মনোনয়ন দিবে তিনিই জনপ্রতিনিধি হবেন। আমি তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ত্যাগী নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দলকে সুসংগঠিত কাজ করছি।
তাড়াশের বিএনপি নেতা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, রুহী আফজাল ২০১৬ সালে বিএনপির সদস্য ফরম পুরন করে বিএনপির সদস্যপদ লাভ করেন। এতোদিন তিনি মাঠে রাজনীতি করেননি। তবে বিভিন্ন সময় দলকে সহযোগিতা করেছেন। ৫ আগষ্টের পর তিনি সরাসরি মাঠে নেমেছেন। আর রুহী আফজাল যে বিএনপি করেন এটা কেন্দ্রীয় নেতারা ভালভাবে জানেন। সে জন্যই তাকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য করা হয়েছিল। সদস্য হবার পরই তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়। চক্রান্ত করে তাকেসহ আরো ৫জনের পদ স্থগিত করা হয়েছে। এতে এই ৫জনের দলীয় ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তারপরেও দলের সিদ্ধান্তকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি বলেন, রুহী আফজাল ও আমিসহ মান্নান তালুকদার অনেকেই আগামী নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশী। দল যাকে দিবে আমরা সবাই মিলে তার হয়েই কাজ করে ধানের শীষকে বিজয়ী করবো। তবে রুহী আফজালের বিরুদ্ধে যে সব তোলা হয়েছে তা সত্য নয় বলেও তিনি দাবী করেন।
অন্যদিকে স্থানীয়রা জানান, রুহী আফজালের পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। শুধু তার বোন রিটাকে আফজালের আওয়ামীলীগ পরিবারের সাথে বিয়ে হওয়ায় তিনি আওয়ামীলীগ করেছেন এবং মনোনয়নও তুলেছেন। কিন্তু রুহী আফজাল কখনো আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত নন। তিনি রায়গঞ্জে অনেক বিএনপি কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। ৫ আগষ্টের পর থেকে তিনি সরাসরি মাঠে নেমেছেন। বিভিন্ন সব প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকেছেন। তাকে রায়গঞ্জ-তাড়াশের ত্যাগী বিএনপি নেতাকর্মীরা সাদরে গ্রহন করেছেন। দিনদিন বিএনপিসহ সাধারন মানুষের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় একটি মহল নানা ষড়যন্ত্র করছেন। তবে আমরা মনে করি রুহী আফজাল যদি ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে ধারন করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে মাঠে কাজ করেন ষড়যন্ত্রকারীরা তার কিছুই করতে পারবে না। তিনি রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলঙ্গার মানুষের মন জয় করে আগামীতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পারবেন।
প্রকাশক: সোহেল রানা II সম্পাদক: আব্দুস সামাদ সায়েম II অফিস: দ্য পিপলস্ নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম বাজার স্টেশন, রেলওয়ে কলোনী,সিরাজগঞ্জ II মোবা: ০১৭১২-৪০৭২৮২,০১৭১১-১১৬২৫৭ II ই-মেইল thepeoplesnews24@gmail.com II
©২০১৫-২০২৫ সর্বস্ত্ব সংরক্ষিত । তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত (নিবন্ধন নং-২১০)