নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পলোয়ানের পোল এলাকার একটি খাল থেকে জাকির হোসেন (৩৮) নামের এক যুবলীগ নেতার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় মৃতদেহ ফেলতে আসা গাড়িটিকে ধাওয়ার করে দুইজনকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন। নিহত জাকির সোনাইমুড়ি উপজেলা যুবলীগের সদস্য।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে বাংলা বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করে গণপিটুনি দেয় জনতা। নিহত জাকির হোসেন সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের রফিক উল্যাহ মেস্ত্রীর ছেলে। সে স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ জাকির বাহিনীর প্রধান বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির একটি বেকু মেশিন (মাটি কাটার মেশিন) পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে জাকিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর কয়েকজন দূর্বৃত্ত একটি সিএনজি যোগে জাকিরের বাড়িতে গিয়ে তাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকেলে সিএনজি থেকে পাশ^বর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার পলোয়ানপোল এলাকার খালের মধ্যে জাকিরের মৃতদেহ ফেলে দেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পায়। এসময় লোকজন সিএনজিটি ধাওয়া করে এবং বাংলা বাজার এলাকায় গিয়ে সেটিকে আটক করে এবং সিএনজি চালক ও ভিতরে থাকা বাবুকে (৩৬) গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। একই সাথে খাল থেকে জাকিরের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলম বলেন, নজরুলের সাথে জাকিরের ঝামেলার কথা আমরাও শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, তারা ফিরে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে। নিহত জাকিরের বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই’সহ বিভিন্ন ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অন্য থানায় মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, নিহতের মৃতদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক দুইজনকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।