মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন

মাসের পর মাস অফিস ফাঁকি দেওয়া সিএইসসিপির বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ দিল কাওয়াকোলাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৫৫ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে



সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাধীন কাওয়াকোলা ইউনিয়নে কাওয়াকোলা কমিউনিটি শুক্রবার ও সরকারি ছুটি ব্যতিত সপ্তাহে ৬দিন খোলা রেখে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা এবং মাসের পর মাস অফিস ফাঁকি দেওয়া সিএইসসিপির বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ দিল কাওয়াকোলাবাসী।

(১৬ এপ্রিল ২০২৪) তারিখে স্বশরীরে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এলিখিত অভিযোগ দেন কাওয়াকোলাবাসী।


অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকার গ্রামের নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে গ্রামীণ চিকিৎসাসেবা কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে। ইতোমধ্যে গ্রামীণ চিকিৎসাসেবাকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেছে। ক্লিনিকগুলো থেকে রোগীদের মধ্যে প্রায় ২৭ প্রকার ওষুধও বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মান করেছে সরকার। জনবলও নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্বপ্রাপ্তরা থাকেন শহরে। শহরে থাকার কারনে ৩ ক্লিনিকে সপ্তাহের প্রতি সোমবার ক্লিনিক খোলা রেখে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সেবা দিয়ে চলে আসে স্বাস্থ্যকর্মীরা। এতে প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে অবস্থিত এই ইউনিয়নের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।
কমিউনিটি ক্লিনিক সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত সপ্তাহে ছয়দিন খোলা রাখার বিধান থাকলেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) বেনজামিন আরিফ উল শাকিল।

কাওয়াকোলা কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী সিএইসসিপি বেনজামিন আরিফ উল শাকিল মাসের পর মাস বন্ধ থাকে কাওয়াকোলা কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে ক্লিনিকে রোগী দেখা খাতাপত্র সহ সকল কাগজপত্র শহরের বাসায় রেখে সপ্তাহে ৬দিন খাতায় ভুয়া রোগী লিখে রাখেন। ভুয়া রোগীর নামের পার্শ্বে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ লিখে রাখেন। ভুয়া রোগির নামের পার্শ্বে ওষুধগুলো আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

২০২০ সালে কাওয়াকোলা কমিউনিটি ক্লিনিক নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পুর্বে সপ্তাহে ১দিন (সোমবার) ক্লিনিক খোলা থাকত। বর্তমানে শারিতা মিল্লাত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হলেও এখান থেকে প্রতি মাসে ১দিন ক্লিনিক খোলা থাকে। এতে করে দুর্গম চরাঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না গ্ৰামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর হতদরিদ্র অসহায়রা।

ভুক্তভোগীরা ব্যক্তিগতভাবে সিএইসসিপি বেনজামিন আরিফ উল শাকিল মোবাইল করলে, তিনি বলেন, আমাকে আমার কর্মকর্তা সদর হাসপাতালে রেখে দিয়েছেন। কাওয়াকোলা কমিউনিটি ক্লিনিক খোলা রাখতে চাইলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এর অনুমতি নিয়ে পুনরায় চালু করতে হবে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাধীন কাওয়াকোলা ইউনিয়নে কাওয়াকোলা কমিউনিটি শুক্রবার ও সরকারি ছুটি ব্যতিত সপ্তাহে ৬দিন খোলা রেখে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা এবং মাসের পর মাস অফিস ফাঁকি দেওয়া সিএইসসিপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে জোর দাবী জানান কাওয়াকোলাবাসী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir