শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বৃদ্ধ বয়সে সঙ্গের প্রয়োজন মেটাতে বৃদ্ধাশ্রমের ভূমিকা বাড়ছে -সিরাজগঞ্জে দীপু মনি শনিবার ২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধ সুষ্ঠু ভোটের আয়োজনে প্রার্থীদেরও ভূমিকা রয়েছে -সিরাজগঞ্জে ইসি রাশেদা সুলতানা সিরাজগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, আহত ২ সান্তাহার রেল স্টেশনে অপ্রীতিকর ঘটনা, বেরিয়ে এলো মূল ঘটনা সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে পানি, স্যালাইন ও ফ্রুট ড্রিংস বিতরণ বেলকুচিতে থানায় ঢুকে বিশৃঙ্খলা, চেয়ারম্যান প্রার্থীর ১০ সমর্থক গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা-মারপিট ও মামলা এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশের হাইব্রিড ধানবীজ

নাটোরে ব্যাঙের বিয়ে

নাটোর প্রতিনিধি: / ৮১ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে

ব্যাঙের বিয়ে! তা-ও মহা ধুমধাম করে। বিয়ের জন্য ছায়ামন্ডপ, পু®পমাল্য, গায়েহলুদ, আশীর্বাদ, ধান-দূর্বা, ভোজন সব ধরনের ব্যবস্থাই ছিল। শুধু তা–ই নয়, বিয়েতে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিরাও ব্যাঙ দ¤পতিকে দিয়েছেন অর্থসহ বিভিন্ন ধরনের উপহারসামগ্রী।সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের প্রত্যান্ত নাগশোষা গ্রামে এ আয়োজন করা হয।

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। নেই বৃষ্টির দেখা। অধিকাংশ এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে তীব্র তাপদহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রকৃতি যেন পানির জন্য আহাকার। তাই বৃষ্টির আশায় নাটোরের লালপুরে বাড়ি বাড়ি চাল ডাল তুলে ধুমধাম করে ব্যাঙের বিয়ে দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, যে বছর তাঁদের এলাকা অনাবৃষ্টির কবলে পড়ে, সেই বছরই তাঁরা বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের এই ধরনের বিয়ের আয়োজন করে থাকেন। স্থানীয়ভাবে এটিকে ব্যাঙ্গা-ব্যাঙ্গির বিয়ে বলা হয়। বংশপর¤পরায় তাঁরা এই রীতি পালন করে আসছেন বলে দাবি করলেন তাঁরা। তাঁদের বিশ্বাস, ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হয়। আয়োজকরা জানান, তীব্র গরমে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। টিউবওয়েলে তেমন পানি উঠছে না। জমিতে চাষাবাদের জন্য নেই পানি পাওয়া। ইতিমধ্যে আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। একারণে যাতে বৃষ্টি হয়, সে জন্য ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত কুমার ও রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, সনাতন রীতি অনুযায়ী অনেক
বছর ধরে এই প্রথা চালু আছে। অনাবৃষ্টি হওয়ায় এই গ্রামের সবাই মিলে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের কাছে এক প্রকার বিশ্বাস ব্যাঙের বিয়ে দিলেই বৃষ্টি হবে। সেই আশাতেই ব্যাঙের বিয়ে দিয়ে ভগবানের কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়েছে। এদিকে লালপুর উপজেলা জনপ্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রবিন হোসেন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানির লেয়ার পরীক্ষা করে দেখা গেছে গড়ে ৩২ ফিট নিচে নেমে গেছে। যা সাধারণত ২০/২২ ফিট থাকে। কোথাও যেন সুপেয় পানি সংকট না থাকে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, চলতি মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বৃষ্টির অভাবে রবি শস্য এবং আম, লিচুর গুটি ঝরে যাচ্ছে। খরা মোকাবেলায় কৃষি বিভাগ থেকে ঘন ঘন সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদেও ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir