বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেকমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ৫ আগষ্টের পর থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে অদৃশ্য ফ্যাসিবাদ চক্র ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। অশুভ ফ্যাসিবাদ ছায়াশক্তি সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপিকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। অথচ এই অশুভ শক্তি সুক্ষ্মভাবে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে দখলবাজি করছে কিন্তু একথা কেউ বলছে না। আর বিএনপি নেতাকর্মীরা চুপ থেকে শুধু নিজেদের মধ্যে একে অন্যের বিরুদ্ধে দোষারোপে ব্যস্ত রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ভিক্টোরিয়া স্কুল মাঠে পৌর বিএনপি আয়োজিত পৌরসভার ২ থেকে ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফ্যাসিবাদ অশুভ ছায়াশক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রত্যক্ষভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের সোচ্চার ও প্রতিবাদ করার আহবান জানিয়ে বলেন, যারা আওয়ামীলীগ করেছে এবং বিএনপিসহ সাধারন মানুষকে অত্যাচার করেছে তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক অশুভ ফ্যাসিবাদ ছায়াশক্তির বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে এবং বিএনপিকে জয়ী হতে হবে।
টুক বলেন, এই অশুভ শক্তি ইসলাম ধর্মকে পুনপ্রচারের অপচেষ্টা করছে। মনে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ ইসলাম ধর্ম থেকে খারিজ হয়ে গেছে। তারা পুন:প্রতিষ্ঠা করার অচচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে পড়েছে। অথচ আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে শেষ নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন। তিনিই শেষ নবী এবং উম্মতের রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব তার হাতেই। হযরত মুহাম্মদ সা. আমাদের ইসলাম ধর্মের পাহারাদার। পরকালেই তিনি উম্মতকে রক্ষার কাজ করবেন। আর অশুভ শক্তি ক্ষমতায় যাবার জন্য বলছে, ভোট দিলে পাল্লায়, ভোট পাবে আল্লায়- এর চাইতে বড় মোনাফেকী দুনিয়াতে আর হতে পারে না।
তিনি বলেন, অশুভ শক্তির দলটি ৭১-এ মুক্তিযোদ্ধার বিরোধীতা করেছিল। তারা এখনো ক্ষমা চায়নি। উল্টো স্বাধীন দেশে ৫ আগষ্টের পর মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদেও নিয়ে সমালোচনা করছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সমালোচনা করবে জিয়ার সৈনিককে তার প্রতিবাদ করতে হবে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে উন্নয়নের উ” চশিখরে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মালিক দাবী করে দেশকে লুটপাট করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার লোভ দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কিনে নিয়েছিল। যার কারনে শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের খেতাব কেড়ে নিলেও একটা মুক্তিযোদ্ধা কথা বলেনি। প্রতিবাদের জন্য রাস্তায় নামেনি। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাকে পঁচিয়ে দিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশের ফাউন্ডেশন। আর এই ফাউন্ডেশনকে দুর্বল হলে দেশ টিকবে না। সুতরাং বাংলাদেশের ফাউন্ডেশন দুর্বল করতে এই অদৃশ্য দল ইসলাম বিক্রি করে দেশকে অস্থিতীল করতে মাঠে নেমেছে। এদেও রুখে দিতে হবে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি ও দেশকে গুপ্ত ফ্যাসিস্ট ও ইসলাম ধর্মকে বিক্রি করা দলের হাত থেকে বাঁচাতে হলে এখনই মাঠে নামতে হবে, মানুষকে বোঝাতে হবে-বেহেশতের মালিক একমাত্র আল্লাহ। কোন দল নয়। এটা বিএনপি নেতাকর্মীদের ইমানি দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বে ইসলাম ধর্মকে কলঙ্কিত করছে এই অপছায়া শক্তির দল। তারা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে ইসলাম ধর্মকে ছোট করছে। এ জন্যেই রাসুল বলেছেন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। তিনি বলেন,এই দলটি ভারত থেকে পাকিস্তান আলাদা করার সময় বিরোধিতা করেছিল। আবার ৭১ বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার আল্লাহর আইন করার নামে বাঙ্গালীদের হত্যা করে স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল। এটা এই দলের মুল চেহারা। এরা কখনো জনগনের সাথে থাকে না। মিথ্যা ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষের কাছে আসার চেষ্টা করে। অতএব এদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
শহর বিএনপির সভাপতি সেলিম ভুইয়ার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক নুর কায়েম কায়েম সবুজ, যুগ্ম সম্পাদক ভিপি শামীম ও শহর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মুন্সী জাহিদ আলম প্রমুখ।