কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় আলাদা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন— সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. এনামুল কবীর ইমন (৫১), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক (৫৫), বনানী থানা তাঁতি লীগের সহ-সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন (৩৮), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মিরাজ হোসেন মনি (৩০), ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী বেলাল আহমেদ নাহিয়ান ওরফে বিপ্লব (৩২)।
এছাড়াও জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহানুর আলম সাবু (৫৩), মতিঝিল থানা ৯ নম্বর ওয়ার্ড দৈনিক বাংলা ডিডিএস ইউনিট যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূরে আলম লিটন হোসেন (৩৭) এবং চকবাজার থানা ৩০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক মুরাদ (৪৫)।
উপ-পুলিশ কমিশনার তালেবুর রহমান জানান, শনিবার দিনগত রাত ১টার দিকে ধানমন্ডি থানাধীন ৭ নম্বর রোড এলাকায় ডিবি সাইবার দক্ষিণ বিভাগের একটি দল অভিযান চালিয়ে এনামুল কবীর ইমনকে গ্রেফতার করে। একই দিন রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে ডিবি সাইবার বিভাগ ভাষানটেক এলাকা থেকে এমদাদুল হককে ও রাত ১১টা ২০ মিনিটে ডিবি মতিঝিল বিভাগ মগবাজার এলাকা থেকে মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিবি ওয়ারী বিভাগের একটি দল ধোলাইপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাজী মিরাজ হোসেন মনিকে এবং রাত সাড়ে ১১টায় ডিবি তেজগাঁও বিভাগের একটি টিম মোহাম্মদপুরের টিক্কাপাড়া এলাকা থেকে বেলাল আহমেদ নাহিয়ান ওরফে বিপ্লবকে গ্রেফতার করে।
এছাড়া শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ডিবি গুলশান বিভাগের একটি দল তেজকুনিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. শাহানুর আলম সাবুকে গ্রেফতার করে। একই রাতে ডিবি লালবাগ বিভাগ বায়তুল মোকাররম পল্টন এলাকা থেকে মো. নূরে আলম লিটন হোসেনকে ও রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ডিবি রমনা বিভাগ চকবাজার এলাকা থেকে আমিনুল হক মুরাদকে গ্রেফতার করে।
তালেবুর রহমান আরও জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।