শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫০ অপরাহ্ন

সিরাজগঞ্জে সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৬২ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৪৩ অপরাহ্ন

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে জোরপূর্বক দরিদ্র কৃষকদের জমির ফসল নষ্ট করার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির আনোয়ারসহ আওয়ামীলীগের একশো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার চর নূরনগর গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মোকাম কামারখন্দ থানা আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় কবির আনোয়ারসহ ৭০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে।


বাদীর আইনজীবি এ্যাড. মো. নাজমুল ইসলাম জানান, কামারখন্দ থানা আমলী আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ওমর ফারুক রবি মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।


মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে বাদীসহ স্থানীয় অর্ধ শতাধিক কৃষক উদয়কৃষ্ণপুর মৌজার প্রায় ৯৭ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছিলেন। এ অবস্থায় কবির আনোয়ারের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ক্ষমতার দাপটে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ওইসব জমির ফসল নষ্ট করে ফুলজোড় নদীর উত্তোলিত বালু রাখার ষড়যন্ত্র করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করে ভুক্তভোগী এক কৃষক। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ২০২২ সালের ১ জানুয়ারিতে ওই জমিতে মাটি ভরাট না করার জন্য আদেশ দেন।


কিন্তু তারা উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ১৪ জানুয়ারি পিস্তল, রিভলবার, রামদা, ধারালো ছুরি, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বেআইনীভাবে ওই জমিতে ঢুকে ৪টি ভেকু মেশিন দিয়ে পাকা সরিষা নষ্ট করে মাঝখানে বালু রাখার জন্য জায়গা রেখে চারদিকে মাটির বাঁধ নির্মাণ করে। এতে প্রায় ২৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার সরিষা নষ্ট হয়ে যায়। মাটি কেটে মাঝে মাঝে কোঠা করে চারিদিকে বাধ নির্মাণের ফলে ক্ষতি হয় ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব মিলে ৭১ লাখ ৭৮ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। তাদের এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে অস্ত্র দিয়ে হত্যার ভয় দেখায় এবং এ বিষয়ে মামলা না করার জন্য হুমকি দেয়। এসব কারণে মামলা করিতে সাহস পায় নাই তারা।

মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম বলেন, ফুলজোড় নদীর বালু রেখে ব্যবসা করার জন্য তারা আমাদের সরিষার ক্ষেত নষ্ট করে। পরবর্তীতে আদালতের আদেশের কারণে তারা বালুর ব্যবসা করতে পারেনি। কিন্তু আমাদের ফসলী জমিগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষকেরা দীর্ঘদিন ধরে ওইসব জমিতে কোন প্রকার আবাদ করতে পারছে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir