সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ঈদের দিন ঘুরতে বেরিয়ে বিএনপি নেতার হামলার শিকার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মি অলি কোচ না বদলালে জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন না লেভানদোভস্কি! এপ্রিলে নির্বাচন মাথায় রেখে সময়মতো রোডম্যাপ দেবে ইসি: আসিফ মাহমুদ কক্সবাজার সৈকতে নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার আব্দুল হামিদ প্রসঙ্গে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চলনবিলের তাড়াশে কৃষকের সোনালী ফসল পানির নিচে তাড়াশে ঝড়ে গাছের ডাল পরে স্কুল শিক্ষক নিহত উল্লাপাড়ায় অসুস্থ জুবায়েরের পাশে মাওলানা রাফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ১৫ সাভার থেকে গর্ভবতী নারীকে অপহরণের অভিযোগ, নেপথ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী আসলাম

গভীর নলকুপের ম্যানেজার নির্ধারনে কাজিপুর বিএডিসি’ সহকারী প্রকৌশলীর অনিয়ম-দুর্নীতি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: / ২০৩ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:৫৮ অপরাহ্ন
বিএডিসির (ক্ষুদ্র সেচ) কাজিপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ তারেক আহমেদ

এস.কে-১১ গভীর নলকুপের ম্যানেজার নির্ধারনে তিন লক্ষাধিক টাকা ঘুষ গ্রহনসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে বিএডিসির (ক্ষুদ্র সেচ) কাজিপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ তারেক আহমেদ এর বিরুদ্ধে। কাজিপুর উপজেলার মাইজবাড়ী ইউনিয়নের ছালাভরা গ্রামের ভুক্তভোগী মোঃ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৮০-৮১ সালে নুরুল ইসলাম সরকার নিজস্ব জমিতে গভীর নলকুপ স্থাপনে সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়। ওই সময় থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জমিদাতা হিসেবে নুরুল ইসলাম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন এবং সেচচার্জ প্রদান করেন। ২০০৬ সালে নুরুল ইসলাম অসুস্থ হওয়ায় তার ভাতিজা আব্দুল্লাহ আল হারুনকে মৌখিকভাবে পরিচালনার দায়িত্ব দেন।
এলাকায় সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায় কৃষকদের জমিতে পর্যাপ্ত পানি সেচ না দেওয়া, কৃষকদের সাথে দূর্ব্যবহার ও নলকুপটি সঠিকভাবে পরিচালনা না করার কারনে আব্দুল্লাহ আল হারুনের প্রতি স্কিম আওতাভুক্ত কৃষকদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থাকায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারীতে কৃষকরা আব্দুল্লাহ আল হারুনকে গাছের সাথে বেঁধে মারপিট করে। কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে পুনরায় নলকুপটি নুরুল ইসলাম সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চাইলে আব্দুল্লাহ আল হারুন জাল-কাগজপত্রাদি দিয়ে নলকুপটি নিজের ক্রয়কৃত সম্পত্তি হিসেবে লিখিতভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন দাবী করে। এ অবস্থায় উপজেলা সেচ কমিটি বৈঠক করে তদন্ত সাপেক্ষে আব্দুল্লাহ আল হারুনকে ম্যানেজার থেকে অব্যাহতি দিয়ে পরবর্তী বোরো মৌসুমে নূরুল ইসলামকে ম্যানেজার নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয় এবং নূরুল ইসলামের কমিটি বিএডিসি’র সহকারী প্রকৌশলী তারেক আহমেদ কে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে আব্দুল্লাাহ আল হারুনের কাছ ঘুষ নিয়ে তারেক আহমেদ ষড়যন্ত্রমূলক গোপনীয় তদন্ত, অনিয়ম, দূর্নীতি করে নূরুল ইসলামকে ম্যানেজার হওয়া থেকে বঞ্চিত করেছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবহিত করা হলে তিনি পূনরায় কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে আব্দুল্লাহ আল হারুনের কাগজপত্র জাল প্রমানসহ জেলা প্রশাসক বরাবর ও জেলা সেচ কমিটি বরাবর নির্দেশনার জন্য লিখিতভাবে চুড়ান্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। প্রতিবেদনের সাথে ভুয়া, বানোয়াট কাগজপত্র দাখিল করেন। এরপর জেলা প্রশাসক বিএডিসির জেলা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিলে তিনি চলতি বছরের জুন মাসে কাজিপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীকে বিষয়টি সুরাহার নির্দেশনা দেন যদিও সেই নির্দেশনা বিধিমালা বহির্ভূত ও উপজেলা সেচ কমিটির চুড়ান্ত প্রতিবেদনের সাথে সাংঘর্ষিক। কিন্তু জেলা সেচ কমিটির নির্দেশনা অমান্য করে সহকারী প্রকৌশলী তারেক আহমেদ আব্দুল্লাহ আল হারুনের কাছ থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা ঘুষসহ নানা-অনিয়ম দুর্নীতি করে আব্দুল্লাহ আল হারুনকে চলতি আমন মৌসমে মৌখিকভাবে নলকুপটি পরিচালনাসহ স্থায়ীভাবে ম্যানেজার নিয়োগ দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপচেষ্টার অংশ হিসেবে তারেক আহমেদ উপজেলা সেচ কমিটিতে মিমাংসিত বিষয়গুলো উদ্দেশ্যেমূলক পূনরুজ্জীবিত করে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করার হুমকি দিয়ে নূরুল ইসলাম কে গত ০২/১০/২৪ ইং তারিখে নোটিশ প্রদান করেন। নূরুল ইসলাম গত ১৭ নভেম্বর সেই নোটিশের জবাব লিখিতভাবে তারেক আহমেদ কে প্রদান করার পরে তিনি তার দূর্নীতি অনিয়ম ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে কৃষকদের মৌখিক ভোটে ম্যানেজার নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে, নুরুল ইসলাম বৈধ কাগজপত্রের ভিত্তিতে ম্যানেজার নির্ধারণের দাবি করছেন, কৃষকদের মৌখিকভোটে নয়। কারন কৃষকদের ভোট পক্ষে নিতে তারেক আহমেদ এর পরামর্শে আব্দুল্লাহ আল হারুন কৃষকের মধ্যে অর্থ ছড়িয়েছেন অথচ তার বৈধ কোন কাগজপত্রই নাই। এছাড়াও গভীর নলকূপটির অবস্থানকৃত জায়গার মালিকানা আব্দুল্লাহ আল হারুন কে বানাতে তারেক আহমেদ ষড়যন্ত্রমূলক তদন্ত করেছেন। তারেক আহমেদ এতটাই অর্থলোভী ও ভয়ংকর যে, আট বছরের আব্দুল্লাহ আল হারুনকে এস.কে-১১ গভীর নলকূপ নির্মানকারী ও জমির ভোগদখলকারী দেখিয়েছেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ তীব্রতর হয়েছে ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম সরকার অবিলম্বে বৈধ কাগজপত্রের ভিত্তিতে সঠিক জমিদাতাকে গভীর নলকুপটি পরিচালনার অনুমতি প্রদানসহ দুর্নীতিবাজ বিএডিসি কর্মকর্তার শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করে আব্দুল্লাহ আল হারুনের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, পরবর্তীতে কৃষকদের ভোটে ম্যানেজার নিয়োগ করে নলকূপ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir