সিরাজগঞ্জের চলনবিলের তাড়াশে প্রচুর টানা বৃষ্টির কারণে চলনবিল অধ্যুষিত শতশত কৃষকের পাকা ধান পানির নিচে। পানির নিচে ডুবে যাওয়ায়
পাকা বোরো ধান কাটতে পারছেন না কৃষকরা। এদিকে বৃষ্টি ও ঈদের কারণে শ্রমিক সঙ্কট হওয়ায় বেশী দাম দিয়েও শ্রমিক মিলছে না। পাকা ধান জমিতেই নষ্ট হচ্ছে । বর্ষার পানি বেধে থাকায় ধানে পচন ধরার আশঙ্কা করছে কৃষকদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলনবিলে গত কয়েক দিন থেকে ভারী বৃষ্টিতে ফসলি জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা পাকা ধান পানিতে ডুবে গেছে। চলনবিলে পানি বাড়ায় ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা। কেউ হাঁটুপানি, কেউ কোমরপানিতে নেমে ধান কাটছেন। এসব ধান পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছে নৌকাসহ ভাসমান কলাগাছের ভেলা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে ৯০ ভাগ বোরো ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিলের নিম্নাঞ্চলের নাবি জাতের ধান নিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ঈদের ব্যস্ততা থাকায় আশা করি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধান কাটা সম্পন্ন হবে।
তাড়াশ উপজেলার নাদোসৈয়দপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকার কৃষকরা সরিষা আবাদ করার পর ধান লাগানোর জন্য পাকতে দেরী হয়েছে। আমার ৫ বিঘা জমির বোরো ধান পানিতে ডুবে গেছে। এখন পর্যন্ত কাটতে পারি নাই। বিঘা প্রতি আট হাজার টাকা দাম দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলন ভালো হলেও এবার আমাদের ক্ষতি হবে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইতিমধ্যে ৯০ ভাগ বোরো ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। শ্রমিক না পাওয়ার কারণে চলনবিলের ধান কাটা নিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধান কাটা সম্পন্ন হবে।