শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪২ অপরাহ্ন

চুলের রুক্ষতা দূর করার উপায়

অনলাইন ডেস্ক / ১৪৮ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:১৯ অপরাহ্ন

রুক্ষতা চুলের অন্যতম সমস্যা। লাইফস্টাইল, যত্নের  অভাব, পুষ্টির ঘাটতি, অতিরিক্ত হিটিং টুলস ব্যবহার- রুক্ষতার কারণ। তাছাড়া শীতকালে আবহাওয়ায় আর্দ্রতার পরিমাণ কমতে থাকায় চুলের ওপরও এর প্রভাব পড়ে। ফলে চুল নিমিষেই হয়ে পড়ে রুক্ষ। 

তবে চুলের রুক্ষতাকে কাবু করা মোটেও অসম্ভব কিছু নয়। চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি এবং আর্দ্রতা পেলে সমস্যা নিজে নিজেই কমে যাবে। পাশাপাশি আমাদের রান্নাঘরে এমন প্রচুর উপাদান রয়েছে, যা রুক্ষতা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী।

 

কেন হয়?

সহজভাবে বললে, ড্যামেজ এবং পর্যাপ্ত আর্দ্রতার অভাবই রুক্ষতার প্রধান কারণ। চুলের একেবারে বাইরের স্তর কিউটিকল চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। চুল পর্যাপ্ত পরিমাণে আর্দ্রতা না পেলে, এই কিউটিকল উন্মুক্ত হয়ে পড়ে, যাতে বাতাস থেকে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা গ্রহণ করতে পারে। বাতাস থেকে পাওয়া অতিরিক্ত ময়েশ্চার চুলে জমা হওয়ায় তা বেশি ফুলে ওঠে এবং রুক্ষ দেখায়।

রুক্ষতা দূর করবেন কীভাবে?

চুলের রুক্ষতা দূর করার প্রচুর ঘরোয়া উপায় রয়েছে। তবে চুলের যত্নের পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও নজর রাখা জরুরি। চুলে নিয়মিত যে প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করছেন, সেগুলো কেনার এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু জিনিস মাথায় রাখুন।

শ্যাম্পু কেনার সময় তা সালফেটমুক্ত কি না, দেখে নিন। তবে শ্যাম্পুতে গ্লিসারিন থাকলে ভালো। শ্যাম্পু করার পর চুলের প্রয়োজনীয় তৈলাক্তভাব ও আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। তা চুলে আবার ফিরিয়ে দিতেই সবসময় কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।

চুল বাতাসে শুকোতে পারলে সব থেকে ভালো। সম্ভব হলে ব্লো-ড্রায়ার পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন অন্তত দুবার ভালোভাবে চুল আঁচড়ান। এতে চুলের স্বাভাবিক তেল সব অংশে ছড়িয়ে পড়বে।

রুক্ষতা দূর করার ঘরোয়া উপায়

চুলের রুক্ষতা দূরীকরণের সবটাই নিয়ম এবং যত্নের ওপর নির্ভরশীল। নিয়মিত যত্ন নিলে চুল আবার কোমল এবং নরম হয়ে উঠবে। রইল চুলের রুক্ষতা রোধে হেয়ারপ্যাকের কয়েক পদ।

চুলের রুক্ষতা কমাতে ডিম ভীষণ উপকারী, অপরদিকে অলিভ অয়েল চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই এ দুই উপাদান দিয়ে তৈরি প্যাক রুক্ষ চুলের জন্য আদর্শ। এক থেকে চার কাপ অলিভ অয়েলের সঙ্গে একটা কাঁচা ডিম ফেটিয়ে নিন। মিশ্রণ ভালোভাবে মিশে গেলে তা স্ক্যাল্পসহ পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন। ৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন।

কন্ডিশনার হিসেবে কলা দারুণ। আর মধু রুক্ষতা দূর করে নিমেষেই। একটা পাকা কলার সঙ্গে দুই চা-চামচ মধু ও এক থেকে তিন কাপ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন।

ভিটামিন-ই চুলের জন্য খুবই উপকারী। এটি চুলের প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে হওয়া ক্ষতির হাত থেকে চুলকে রক্ষা করে। আর চুল ভালো রাখতে নারকেল তেলের ভূমিকা সবারই জানা। একভাগ ভিটামিন-ই অয়েলের সঙ্গে চার ভাগ নারকেল তেল মিশিয়ে এয়ারটাইট কনটেনারে ভরে রেখে দিন। সপ্তাহে একবার বা  দুবার চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী এ তেল স্ক্যাল্প এবং চুলে মাসাজ করে ৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন।

লেখা : নূরজাহান জেবিন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir