রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
টঙ্গীতে মোবাইল ছিনতাই করতে গিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক মাহফুজকে হত্যা পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা; আনসার সদস্যদের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ সত্য নয়: আনসার ডিজি আবারও সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলো ডিএমপি সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু হতে পারে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কুড়িগ্রামকে মাদকমুক্ত করতে অভিযান চলবে-জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা  টাঙ্গাইলে ঘাটাইলের জোরদিগিতে মসজিদের নামে জমি দান করায় দানকারীর বিরুদ্ধে ৬টি মিথ্যা মামলা  বিএনপির বিরুদ্ধে  ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে  কাজিপুরে বিক্ষোভ মিশিল   নাটোরে দুই নারীকে গরম পানি দিয়ে ঝলসে দেবার ঘটনায় ৫জন আটক সিরাজগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

রংপুরে বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ৩০০ হেক্টর ফসল নিমজ্জিত

রংপুর প্রতিনিধি : / ৩৬ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ৫:৩২ অপরাহ্ন

গত ৪৮ ঘণ্টায় রংপুরে প্রায় ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বর্ষার আগেই অঝোর ধারা এই বৃষ্টিতে রংপুর নগরীর নিম্নাঞ্চলের অনেক স্থান প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ৩০০ হেক্টরের বেশি জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে।

অপরদিকে, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। এ নিয়ে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, রংপুর নগরীর শ্যামা সুন্দরী খাল খনন না করায় অবিরাম বৃষ্টিতে খাল উপচে পানি আশপাশের অনেক বাড়ি-ঘর ও অলিগলিতে প্রবেশ করেছে। নগরীর উপর দিয়ে প্রবাহিত ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই শ্যামা সুন্দরী খালের অনেক স্থান তলিয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার বেলা ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টিতে নগরীর জুম্মাপাড়া, কামারপাড়া, মুন্সপাড়া, হনুমানতলাসহ বেশ কয়েকটি পাড়া-মহল্লায় পানি উঠেছে। বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পানি উঠায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে রয়েছে।

এদিকে, কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে প্রাথমিক হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ৩০০ হেক্টরের বেশি জমির ধান, বাদামসহ রবিশস্য নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। কৃষি অফিস বলছে, ফসল নিমজ্জিত হলেও ক্ষতির শঙ্কা কম। খুব দ্রুত পানি নেমে যাবে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তফিজার রহমান জানিয়েছেন, রংপুরে গত তিনদিনে ২৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।

এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, অসময়ে তিস্তা ফুলে ফেঁপে উঠছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। একই সময়ে কাউনিয়া পয়েন্টে ২৮ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার ছিল। সকাল ৯টায় পানির প্রবাহ বেড়ে ২৮ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কোনো সময়ে পানি বাড়তে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir